জার্মান অর্থমন্ত্রী পিটার আলতম্যায়ার সোমবার একথা বলেছেন। জেডডিএফ সম্প্রচার মাধ্যমকে তিনি বলেন, খাশুগজির ঘটনায় সৌদি আরব এ পর্যন্ত যেসব ব্যাখ্যা দিয়েছে তা সন্তোষজনক নয়।
“আমরা কি ঘটেছে তা জানতে চাই। আর তাই সরকার এ মুহূর্তে সৌদি আরবে আর কোনো অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” তাছাড়া, খাশুগজির ঘটনায় সৌদি আরবের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য ইইউ এর অন্য দেশগুলোরও দেশটিতে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করা উচিত বলেও আলতম্যায়ার মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “ইউরোপীয় দেশগুলো সবাই মিলে একটি যৌথ পদক্ষেপ নেওয়াটা আমার মতে জরুরি। কারণ, সব ইউরোপীয় দেশ একাট্টা হলে রিয়াদ সরকারের ওপর এর একটা প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমরা রপ্তানি বন্ধ করলেও অন্য দেশগুলো যদি সে শূন্যস্থান পূরণ করতে থাকে তাহলে এতে কোনো কাজ হবে না।”
গত ২ অক্টোবরে তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাশুগজিকে হত্যাই করা হয়েছে বলে এতদিনে সরাসরি স্বীকার করেছে সৌদি আরব।
এর আগে কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার পর থেকে খাশুগজি নিখোঁজ হওয়ার সময় থেকে সৌদি আরব নানা সময়ে নানারকম কথা বলে এসেছে। খাশুগজি নিখোঁজের ব্যাপারে কিছু জানা নেই বলেও দেশটি এর আগে দাবি করেছে।
ঘটনার ১৭ দিন পর গত শনিবার কনস্যুলেট ভবনের ভেতরই খাসুগজি নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি আরব। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল তাদের দেওয়া ঘটনার ব্যাখ্যা মেনে নেয়নি। এরপরের দু’দিন সৌদি আরব একাধিকবার তাদের বিবৃতি পাল্টেছে।
রোববার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুবাইর সরাসরি খাশুগজি নিহত হয়েছেন জানিয়ে এ ঘটনাটিকে একটি ‘বড় ধরনের মারাত্মক ভুল’ বলে মন্তব্য করেন। তবে জুবাইর সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে বাঁচানোর চেষ্টা করে বলেন, তিনি কিছু জানতেন না।
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল রোববার বলেছেন, খাশুগজির বিষয়টি নিয়ে এ অস্পষ্টতা যতদিন না কাটবে ততদিন পর্যন্ত সৌদি আরবে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখবে জার্মানি।