তিনি হচ্ছেন, কানাডার ওন্টারিওর ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর সহযোগী অধ্যাপক ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড।
রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সস মঙ্গলবার পদার্থে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। তাদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন স্ট্রিকল্যান্ড।
বাকী দু’জন হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার আশকিন, ফ্রান্সের রেজার্ড মুরু।
লেসার নিয়ে গবেষণায় যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য চলতি বছর তাদের পদার্থে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
৫৫ বছর পর নোবেল পেয়ে স্ট্রিকল্যান্ড পদার্থে নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে তৃতীয় নারী হিসাবে নাম লেখালেন।
এর আগে ১৯০৩ সালে প্রথম নারী হিসাবে ম্যারি কুরি এবং ১৯৬৩ সালে জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার দ্বিতীয় নারী হিসেবে পদার্থে নোবেল পান।
আর গত তিন বছরে যেকোনো বিভাগে নোবেল পুরস্কার জয়ী প্রথম নারী স্ট্রিকল্যান্ড।
নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের মধ্যে আশকিন পাবেন অর্ধেক। আর বাকি অর্ধেক মুরু ও স্ট্রিকল্যান্ড ভাগ করে নেবেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
নোবেল জয়ের খবর পাওয়ার পর টেলিফোনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্ট্রিকল্যান্ড বলেন, “অবশ্যই নারী পদার্থবিদদের এ জয় উদযাপন করা প্রয়োজন। কারণ আবারও আমরা সেখানে এবং আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারী পদার্থবিদদের নোবেল জয়ের হার আরও দ্রুত গতিতে বাড়বে।”
নারীদের তুলনায় পুরুষদের নোবেল পুরস্কার জয়ের হার অনেক বেশি, বিশেষ করে পদার্থে।