তাইওয়ানকে ৩৩ কোটি ডলারের সামরিক রসদ দিবে যুক্তরাষ্ট্র

তাইওয়ানের কাছে ৩৩ কোটি ডলারের সামরিক রসদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2018, 09:33 AM
Updated : 25 Sept 2018, 09:33 AM

এসব রসদের মধ্যে এফ-১৬ জঙ্গিবিমানের খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সামরিক আকাশযান রয়েছে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পেন্টাগন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

বিবৃতিতে পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি বলেছে, “এই বিক্রয় প্রস্তাব ক্রয়কারীর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তায় অবদান রাখবে। তারা ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে কাজ করছে।”

এই ৩৩ কোটি ডলারের সামরিক রসদের মধ্যে এফ-১৬, সি-১৩০, এফ-৫, আইডিএফ জঙ্গিবিমানের পাশাপাশি অন্যান্য আকাশযান সিস্টেম ও সাবসিস্টেম এবং লিজিস্টিক ও প্রোগ্রাম সাপোর্ট সম্পর্কিত রসদ রয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

প্রস্তাবিত বিক্রয়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।  

এই বিক্রয় প্রস্তাবে ওই অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যের বদল ঘটবে না এবং এসব রসদ তাইওয়ানের ‘প্রতিরক্ষা ও বিমানবহর’ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।

এ পর্যায়ে তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসে ক্রয়ের বিস্তারিত খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। 

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর। বলেছে, তারা নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘নিবিড় যোগাযোগ ও সহযোগিতা বজায় রেখে’ চলবে।

তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। স্বশাসিত এই দ্বীপ ভূখণ্ডটির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক রসদ বিক্রি দীর্ঘদিন ধরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টির একটি কারণ হিসেবে বিরাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই মূলত তাইওয়ান নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। নতুন যুদ্ধবিমানসহ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের চাহিদা জানিয়ে আসছে দ্বীপটি।

তাইওয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে চীনের মধ্যে গভীর সন্দেহ কাজ করে।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য চীনের দিকে ঝুঁকে আছে এবং তাইওয়ানের সাহায্যে মার্কিন বাহিনী দ্রুত এগিয়ে না এলে চীন সম্ভবত দ্বীপটিকে সহজেই গ্রাস করে নিতে পারবে।