উ. কোরিয়ার সঙ্গে ‘ফের আলোচনায় বসতে প্রস্তুত’ যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2018, 08:08 AM
Updated : 20 Sept 2018, 09:04 AM

তবে এবার প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য ২০২১ সালের সময়সীমা উল্লেখ করেছেন তিনি, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন, খবর বিবিসির।

জুনে সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তির পর উভয় পক্ষের মধ্যে চলা আলোচনা বেশ কিছুদিনের জন্য থমকে গিয়েছিল। পিয়ংইয়ংয়ে পম্পেওর নির্ধারিত একটি সফর শেষ মূহুর্তে বাতিল করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কিন্তু চলতি সপ্তাহে দুই কোরিয়ার শীর্ষ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন তার দেশের অন্যতম বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন কেন্দ্র বন্ধে রাজি আছেন বলে জানান। কোরীয় উপদ্বীপকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত’ করার বিষয়েও একমত হন।

এসব ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে’ যুক্তরাষ্ট্র ‘দ্রুত আলোচনায় বসতে প্রস্তুত’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এক বিবৃতিতে পম্পেও বলেছেন, আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে তার সঙ্গে বৈঠক করতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং-হোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকের আমন্ত্রণের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি।

“যুক্তরাষ্ট্র-ডিপিআরকের (উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম) সম্পর্ক পরিবর্তনের আলোচনা শুরুর বিষয়টি চিহ্নিত হবে উত্তর কোরিয়ার দ্রুত নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, যা ২০২১ এর জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে, যেমনটা চেয়ারম্যান কিম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবং যার মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপে একটি স্থায়ী ও স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা কায়েম হবে,” বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

২০২১ সালের জানুয়ারির কথা উল্লেখের মাধ্যমে এবারই প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা সামনে আনলেন।  

চলতি সপ্তাহে মুন ও কিমের মধ্যে হওয়া সম্মেলনেও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে বলে খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।