তাদেরকে এক বছরব্যাপী ওজন কমানোর এক প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তাব দিচ্ছেন তিনি।
ছোট্ট দ্বীপদেশগুলোয় স্থুলতার হার না কমার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পোহিভা বলেন, ১৮ সদস্যের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোর ফোরামে আগামী সপ্তাহের বৈঠকেই তিনি নেতাদেরকে ওজন কমানোর ওই প্রতিযোগিতার প্রস্তাব দেবেন।
স্থানীয় ‘দ্য সামোয়া অবজারভার’ পত্রিকায় পোহিভা বলেন, “আমাদের সবারই পুরো এক বছরের জন্য একযোগে ওজন কমানোর প্রতিযোগিতায় সামিল হওয়া উচিত। এর পরের বছর যখন আমাদের আবার দেখা হবে তখন আমরা ওজন মেপে দেখব কার ওজন সবচেয়ে বেশি কমেছে।”
“কার ওজন কত কিলো কমল সেটিই বিষয় নয় বরং ওজন কমানোর জন্য সবাইকেই হালকা খাওয়া এবং স্বাস্থ্যসচেতন মানসিকতা নিয়ে চলার অভ্যাস গড়ে তোলাও এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য।”
জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করাটা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষদের জন্য কঠিন ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন পোহিভা।
বিবিসি জানায়, এ অঞ্চলের দ্বীপগুলোর ১০ টিই স্থুলতার হারের দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, কয়েকটি দ্বীপের জনগণের ৯০ শতাংশই স্থূল।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীরা প্রকৃতিগতভাবেই মোটা হয় বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এজন্য পশ্চিমা ধাঁচের খাবার, টিনজাত মাংস কিংবা আমদানি করা প্রক্রিয়াজাত খাবারই মূলত দায়ী।