মিয়ানমারের রোহিঙ্গা প্যানেলের সেক্রেটারির পদত্যাগ

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকারকে পরামর্শ দিতে ইয়াঙ্গুনের ঠিক করা একটি আন্তর্জাতিক প্যানেলের সেক্রেটারির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন থাইল্যান্ডের সাবেক কূটনীতিক কবসাক চুতিকুল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2018, 08:23 AM
Updated : 21 July 2018, 08:23 AM

বছরের পর বছর ধরে রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবদমান পরিস্থিতির মোকাবেলায় জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে জানুয়ারিতে ওই প্যানেলটি গঠন করা হয়েছিল। 

ছয় মাসেও উল্লেখ করার মতো কোনো অর্জন না থাকায় ১০ জুলাই প্যানেলের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বলে রয়টার্সকে জানান থাই পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য কবসাক।

গত সপ্তাহেই নেপিদোতে প্যানেলটির তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও সেক্রেটারির পদত্যাগের বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল।

সাবেক থাই রাষ্ট্রদূতের অভিযোগ, মিয়ানমারে একটি স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন কিংবা কার্যক্রম পরিচালনায় আন্তর্জাতিক তহবিল গ্রহণের ক্ষেত্রে প্যানেলকে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছিল। প্যানেল সদস্যদেরকে অনলাইনে বৈঠক করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলেও ভাষ্য তার।

“তারা কি করছে? নেপিদোতে তারা সুস্বাদু নৈশভোজ সারছে, এটা করছে, ওটা করছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিপজ্জনক হচ্ছে- প্যানেল এখন ইস্যুটির ওপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিচ্ছে; কাজ হচ্ছে বলে ভুল অভিব্যক্তি ছড়াচ্ছে,” বলেন কবসাক।

তার এ পদত্যাগ রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় মিয়ানমার সরকারের উদ্যোগের বিশ্বাসযোগ্যতা বড় ধরনের ধাক্কা খেল বলেও মন্তব্য রয়টার্সের।

স্থানীয় ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত প্যানেলটি ঠিকমতো কাজের সুযোগ পাচ্ছে না বলে কবসাক অভিযোগ করলেও এ সম্পর্কে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হাতোই কিংবা সেনা মুখপাত্রের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্যানেলের স্থানীয় সদস্য উইন ম্রা অবশ্য সেক্রেটারির অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিয়েছেন। প্যানেল ঠিকঠাকমতোই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং দ্রুতই এর সফলতা দৃশ্যমান হবে বলেও মনে করছেন তিনি। 

“সরকার আমাদের পরামর্শগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে, অগ্রগতিও দৃশ্যমান হবে,” বলেছেন তিনি।

কবসাকের সমালোচনারও জবাব দিয়েছেন ম্রা।

“কোনো অগ্রগতিই হচ্ছে না এমনটা আপনি বলতে পারেন না,” সেক্রেটারির অভিযোগের পাল্টায় এমনটাই বলেছেন মিয়ানমারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এ চেয়ারম্যান।