এর মধ্য দিয়ে আদালত এই প্রথমবারের মত ফেরিডুবিতে নিহতদের জন্য রাষ্ট্র দায়ী বলে স্বীকার করে নিল।
২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে প্রায় পাঁচশ’ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় সাত হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ফেরি সেউল। এতে ৩০৪ জন নিহত হয়।ফেরির যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
ফেরি ডুবির ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ‘বিপর্যয়’ ঠেকাতে না পারার জন্য বিরোধী দল ও সংক্ষুব্ধদের সমালোচনার মুখে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার।
প্রাণহানির ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চাং হু-অন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিয়ুন-হাইও এ বিপর্যয়ের জন্য ক্ষমা চান এবং প্রাথমিক উদ্ধার তৎপরতায় ঘাটতি ছিল বলে স্বীকার করেন।
দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলো এর আগে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের দোষ প্রমাণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার আদালত এক রায়ে রাষ্ট্রের দোষ স্বীকার করে নিয়ে বলেছে, রাষ্ট্র এবং শিপিং কোম্পানি চেওংহায়েজিং মেরিন এর গাফিলতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটায় তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আদালতের নির্দেশে ফেরিডুবিতে নিহতদের প্রতিটি পরিবার ২০ কোটি ওন (১৭৭,০০০ ডলার)পাবে। আর নিহত প্রতিটি স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা-মায়েরা পাবে আরো ৪ কোটি ওন। তাছাড়া, নিহতদের ভাই বোন এবং দাদী-নানীরাও অল্প কিছু ক্ষতিপূরণ পাবে।
তদন্তকারীরা বলছেন, ফেরিটি কাঠামোগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ ছিল, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ছিল এবং দ্রুতগতিতে চলছিল। জেজু দ্বীপ পার হওয়ার সময় এটি উল্টে যায়।
২০১৫ সালে সরকার একবার নিহত ২৫০ শিক্ষার্থীর জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও তাদের স্বজনরা ঘটনার তদন্ত যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।