ইরিত্রিয়ার রাজধানী আসমারায় বুধবার অবতরণ করেছে ইথিওপিয়া থেকে আসা বিমান। এরপরই নেচে-গেয়ে, পতাকা উড়িয়ে, ফুল দিয়ে ফ্লাইটটিকে স্বাগত জানানো হয়। দু’দেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক ওই ক্ষণটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ছিল এ আয়োজন।
এর আগে ইথিওপিয়ার ইটি ০৩১২ ফ্লাইট বুধবার সকালে আকাশে ওড়ার সময়ই এর যাত্রীরা ইতিহাসে নাম লেখালেন বলে ইন্টারকমে সবাইকে জানিয়ে দেন ইথিওপীয় এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বহী কর্তা টিওল্ডে গেব্রেমারিয়াম।
নতুন ঝকঝকা বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারে বসে আনন্দে হাততালি দিয়ে ওঠা যাত্রী ও ক্রুদের তিনি বলেন, “২০ বছরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটছে।”
১৯৯৮ সালে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ারা এ ফ্লাইটের যাত্রী হয়েছেন। অনেকেই দু’দশক ধরে তাদের দাদী-নানীকে দেখেননি। আবার অনেকেই দেখতে পারেননি ছেলেকে।
আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া সম্প্রতি তাদের দু’দশক ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। জুলাইয়ের শুরুতে তারা এ নিয়ে একটি চুক্তি করেছে।
ওই চুক্তির পরপরই ১৪ জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো ইথিওপিয়া সফরে যান ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট। দুই দেশের নেতাই একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরাদার করতে সম্মত হন।