ট্রাম্পের ‘চরিত্র ভালো না’, তাই মদের লাইসেন্স বাতিলের দাবি

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কজন ধর্মীয় নেতা ও সাবেক বিচারক দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন একটি হোটেলের মদ বিক্রির লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2018, 08:24 AM
Updated : 21 June 2018, 01:09 PM

ট্রাম্পের ‘মারাত্মক বাজে আচরণকে’ কারণ দেখিয়ে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের মদ বিক্রির অনুমতি প্রত্যাহারে অ্যালকোহলিক বেভারেজ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (এবিসি) কাছে অভিযোগ করেছেন তারা।

স্থানীয় আইনানুযায়ী কেবলমাত্র ‘উন্নত চরিত্রের’ অধিকারী ব্যক্তিরাই মদ বিক্রির অনুমতি পেতে পারেন। প্রেসিডেন্ট ‘ভালো চরিত্রের অধিকারী না হওয়ায়’ অভিযোগকারীরা তার হোটেলের ক্ষেত্রে এ অনুমতি বাতিলের দাবি জানান বলে খবর বিবিসির।

প্রাক্তন বিচারক জোয়ান গোল্ডফ্র্যাঙ্ক ও হেনরি কেনেডি জুনিয়র ছাড়াও অভিযোগকারীদের মধ্যে ইহুদি যাজক জ্যাক মলিন, অ্যারন পোটেক এবং খ্রিস্টান যাজক টিমোথি টি বোডি, জেনিফার বাটলার ও উইলিয়াম লামাও আছেন।   

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা অসংখ্য যৌন হয়রানির অভিযোগের পাশাপাশি ‘তার বর্ণবাদী মন্তব্যগুলোর’ বরাত দিয়ে এবিসির কাছে ট্রাম্প হোটেলের মদ বিক্রির অনুমতি বাতিলের আবেদন করেছেন তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরেই তার মোট সম্পদ ও পর্ন অভিনেতা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ ধর্মীয় নেতা ও বিচারকদের।

আফ্রিকার জাতিগুলোকে ‘শিটহোল’বলার পর নিজের বিরুদ্ধে ওঠা বর্ণবাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ব্যবসায়ী থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট  হওয়া ট্রাম্প।  ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের কথাও আগে একাধিকবার অস্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প, প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন যৌন হয়রানির অভিযোগও। 

ধর্মীয় নেতা ও বিচারকরা বলছেন, সাধারণত লাইসেন্স দেওয়ার আগে অথবা নবায়নের সময় গ্রহীতার চরিত্র নিয়ে অনুসন্ধানের বিধান থাকলেও ট্রাম্পের আচরণের কারণে ‘এই মুহুর্তেই কারণ দর্শানোর আদেশ পাঠানো কর্তৃপক্ষের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে’।

“ধনী কিংবা ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যতিক্রম হওয়ার উচিত নয়। প্রেসিডেন্ট হলেও অন্য লাইসেন্স প্রাপ্তদের মতোই তার ক্ষেত্রেও (ট্রাম্প) উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়ার বিধান প্রযোজ্য,” যুক্তি অভিযোগকারীদের।

২০১৬-র নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের সব ব্যবসা তার দুই ছেলেই পরিচালনা করছে। যদিও প্রেসিডেন্ট এখনো ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে তার সব শেয়ারই ধরে রেখেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নিজের কাছে রেখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবিধান লংঘন করেছেন কি না তা নিয়ে মার্কিন আদালতে মামলাও চলছে।