হলিউডের এই অভিনেত্রী রোববার ইরাকের উত্তরাঞ্চলের ‘ডোমিজ ক্যাম্প’ এ যান, যেখানে প্রায় ৩৩ হাজার শরণার্থীর বাস।
এর আগের দিন আগে তিনি ইরাকের ঐতিহ্যবাহী মসুল নগরীতে গিয়েছিলেন।
ইরাকি বাহিনী গত বছর ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হটিয়ে মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
আইএস প্রায় তিন বছর ধরে মসুল দখল করে ছিল এবং তাদের ঘোষিত ‘ইসলামিক খেলাফতের’ গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল নগরীটি।
ওই সময় মসুলের প্রায় ৯ লাখ বাসিন্দা প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকা মসুলবাসীরা কাছাকাছি ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে।
মসুল পরিদর্শনের পর জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জোলি বলেন, “ইউএনএইচসিআর’র দূত হিসেবে আমি যেসব জায়গা পরিদর্শন করেছি তার মধ্যে এখানেই ধ্বংসচিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানকার মানুষ সব কিছু হারিয়েছে।
“তারা পরিত্যক্ত হয়ে আছে। সেখানে শিশুদের জন্য কোনো ওষুধ নেই, সুপেয় পানি নেই। মৌলিক চাহিদা পূরণের কোনো ব্যবস্থাই সেখানে নেই।”
বিশ্ববাসীর প্রতি মসুলকে ভুলে না যাওয়ার আহ্বানও জানান এই অভিনেত্রী।
২০০১ সাল থেকে ইউএনএইচসিআর এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ক্যাম্পগুলো নিয়মিত পরিদর্শনে যান জোলি।