শনিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র চায়না ডেইলি এ সংবাদ জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া চীনের সর্বশেষ প্রদর্শনী এ প্রশিক্ষণ।
চীনের নৌবাহিনীর পোস্ট করার এক ভিডিওর উদ্ধৃতি দিয়ে চায়না ডেইলি জানিয়েছে, জে-১৫ যুদ্ধবিমানের উড্ডয়নরত পাইলটরা রাতে বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিংয়ে অবতরণ করেছে।
মহড়াটি জটিল ছিল জানিয়ে সংবাদপত্রটি বলেছে, “পূর্ণ যুদ্ধ সক্ষমতা অর্জনের পথে এটি একটি বিশাল আগ্রগতি।”
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের যুদ্ধবিমানগুলো গোলাবর্ষণের অনুশীলনও করেছে বলে শনিবার জানিয়েছে চীনের গণমুক্তিফৌজের দাপ্তরিক সংবাদপত্র।
পুরনো বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিংকে ১৯৯৮ সালে ইউক্রেইনের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিল চীন, যাকে প্রধানত প্রশিক্ষণ রণতরী হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীগুলোকে ঢেলে সাজানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। চলতি মাসের প্রথমদিকে দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী পরীক্ষামূলকভাবে সাগরে ভাসিয়েছে তারা।
গত মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের তত্ত্বাবধানে চীনা নৌবাহিনী এ পর্যন্ত নৌশক্তির সবচেয়ে বড় প্রদর্শনীটি করেছে। ওই প্রদর্শনীতে ৭৬টি যুদ্ধবিমান ও ৪৮টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন অংশ নিয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের নৌবাহিনী সক্রিয়তা বহুলাংশে বেড়েছে। লিয়াওনিং তাইওয়ানের চারপাশে ঘুরে এসেছে এবং দেশটির যুদ্ধজাহাজগুলো অনেক দূরদূরান্তে গিয়ে হাজির হয়েছে।
মূলত দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে বিরোধ এবং তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে চীন তাদের নৌশক্তি বাড়িয়ে তুলছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।