সৌদি আরবের আকাশে ইসরায়েলগামী উড়োজাহাজ

৭০ বছরের মধ্যে এই প্রথম সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে কোনো বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ইসরায়েল পৌঁছেছে।

>>রয়টার্স
Published : 23 March 2018, 08:29 AM
Updated : 24 March 2018, 05:10 AM

বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ ইসরায়েলের তেল আবিবের গুরিঅন বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যদিও এয়ার ইন্ডিয়াকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইসরায়েলে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে রিয়াদ কর্তৃপক্ষ এখনও  আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব। এছাড়া ইসরায়েল থেকে বা ইসরায়েলগামী উড়োজাহাজের সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহারের উপর ৭০ বছরের পুরনো একটি নিষেধাজ্ঞা আছে।

ফ্লাইটরাডার মনিটরিং অ্যাপের তথ্যানুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ জিএমটি ১৬:৪৫ মিনিটে সৌদি আরবের আকাশে প্রবেশ করে এবং প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ৪০ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে দেশটির আকাশসীমা অতিক্রম করে।

তারপর সেটি জর্ডান এবং পশ্চিমতীর হয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে। যাত্রা পথে মোট সাড়ে সাত ঘণ্টা সময় লাগে।

উড়োজাহাজটি সৌদি আরবে প্রবেশের আগে ওমানের আকাশসীমা অতিক্রম করে। যদিও ওমানও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি।

পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে ঠেকাতে দৃশ্যত বৈরি এ দেশ দুটি কাছাকাছি আসছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির পর্যটন মন্ত্রী যারিভ লেভিন বলেন, “দুই বছরের প্রগাঢ় সহযোগিতা ও কাজের ফল আজকের এই ঐতিহাসিক দিন।”

ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় ক্যারিয়ার ইওয়ান এওয়ান বলছে, রিয়াদের আকাশ ব্যবহার করে এয়ার ইন্ডিয়া দিল্লি থেকে তেল আবিবে দ্রুততম সময়ে পৌঁছানোর যে সুযোগ পেয়েছে তা এ রুটে চলাচলকারী প্রতিদ্বন্দ্বী বিমান সংস্থাগুলোর জন্য ‘অন্যায্য’ হচ্ছে।

ইসরায়েলের পর্যটন মন্ত্রী বলছেন, ভারতীয় বিমানের মত অন্য দেশের ক্যারিয়ারগুলোও যেন ইসরায়েল যেতে-আসতে সৌদি আকাশসীমা ব্যবহারের সুযোগ পায় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

“তারা আগে বলত, সৌদি আরব কোনো বিমানকে ছাড় দেবে না, এখন তারা (সৌদি আরব) দিচ্ছে; এটা একটা প্রক্রিয়া, শেষ পর্যন্ত আমাদেরটাও (ইওয়ান এওয়ান) যেতে পারবে,” বলেন লেভিন।

এয়ার ইন্ডিয়ার পথ অনুসরণ করে সৌদি আকাশসীমা ব্যবহারের সুযোগ নিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও ফিলিপিন্সের একটি ক্যারিয়ারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি। 

“ইসরায়েলে আসতে আকাঙ্খা ও প্রস্তুতি আছে তাদের; যদিও ঠিক জানিনা, তারা ভারতীয় বিমানের মত অনুমোদন পাবে কিনা।”

এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মন্তব্য চেয়েও পাওয়া যায়নি, জানিয়েছে রয়টার্স।