ট্রাম্প জুনিয়রের ঘর ভাঙ্গছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 16 March 2018, 06:07 AM
Updated : 16 March 2018, 06:59 AM

সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী ভেনেসা ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে এ আবেদন করেছেন। ২০০৫ সালে এ জুটির বিয়ে হয় এবং তাদের পাঁচটি সন্তান রয়েছে।

ভেনেসা ‘আনকনটেস্টেড ডিভোর্সের’ আবেদন করায় আইনি প্রক্রিয়া চলার সময় সন্তানদের হেফাজত এবং সম্পদ নিয়ে কোনো শুনানি হবে না।

৪০ এর কোটায় থাকা এ দম্পতি বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “বিয়ের ১২ বছর পর আমরা দুজন আলাদা পথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পরস্পরকে অত্যন্ত সম্মান করি।”

ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ওই বিবৃতিতে এই সময়ে নিজেদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

কি কারণে ভেনেসা বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এ দম্পতির মধ্যে বিরোধের খবর এসেছিল। তখন ট্রাম্প জুনিয়রের অতিরিক্ত ভ্রমণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তিকে বিরোধে কারণ বলা হয়েছিল।

এছাড়া, বাবা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের অনেক ভার ট্রাম্প জুনিয়রের কাঁধে এসে পড়েছে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, যদিও তিনিই এখনও তার হোটেল, গল্ফ কোর্স এবং আরও শত শত ব্যবসার মালিক। কিন্তু তার বড় দুই ছেলেই এখন সেগুলো দেখাশুনা করছে।

ভাই এরিক ট্রাম্পের মত ট্রাম্প জুনিয়রও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ এবং ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার নাগরিকদের যোগাযোগ নিয়ে বিতর্কেও ট্রাম্প জুনিয়রও জড়িয়ে পড়েছেন।

ওই সময় তিনি ক্রেমলিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে এমন এক রুশ আইনজীবীর সঙ্গে ট্রাম্প টাওয়ারে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করেন। যা নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

এদিকে, গত মাসে একটি মেইল খোলার পর হুমকি দেওয়া চিঠি ও সাদা পাউডার জাতীয় বস্তুর সংস্পর্শে আসায় ভেনেসাকে নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।

যদিও পরীক্ষায় পর জানা যায়, ওই পাউডার বিপদজনক নয়।