গত ৪ মার্চ সালিসবেরির উইল্টশায়ারে একটি পার্কের বেঞ্চে ৬৬ বছরের স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়াকে (৩৩) সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বিবিসি জানায়, ওইদিন বিকালে তারা সলসবেরির ‘জিজ্জি’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়েছিলেন। রাসায়নিক বিশেষজ্ঞরা রেস্তোরাঁর একাংশে একই ‘নার্ভ এজেন্ট’ এর আলামত পেয়েছে।
খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় বাবা-মেয়েকে পার্কের একটি বেঞ্চে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। তবে রেস্তোরাঁটির আর কোনো অতিথি অসুস্থ হননি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যে পাঁচটি স্থানে ফরেনসিক তদন্ত চলছিল জিজ্জি রেস্তোঁরা তারই একটি।রাসায়নিক বিশেষজ্ঞরা এখনও রেস্তোরাঁর ভেতরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।
এছাড়া, যে বেঞ্চে তাদের সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া গেছে সেখানে, স্ক্রিপালের বাড়ি, মিল পাব (যেখানে স্ক্রিপাল গিয়েছিলেন) এবং কবরস্থান (স্ক্রিপালের স্ত্রী ও ছেলের কবর আছে) পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
এরই মধ্য পুলিশ ২৪০ জনের বেশি প্রত্যক্ষদর্শীকে সনাক্ত করেছে; খুঁজে পাওয়া ২০০-রও বেশি নমুনাপ্রমাণও খতিয়ে দেখছেন তারা।
তদন্ত দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে জানিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড পুলিশের প্রশংসা করেছেন।
শনিবার সরকারের জরুরি কমিটির বৈঠকে রুড বলেন, “তারা (পুলিশ) দ্রুতগতি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এই তদন্তের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে নিরাপদে রাখা; আমরা সব প্রমাণ সংগ্রহ করছি যেন এরপর যদি কিছু আসে, কি করা উচিত আমরা পরিষ্কার থাকব।"
স্ক্রিপালকে বিষ দিয়ে হত্যা চেষ্টায় বিদেশি রাষ্ট্রের যোগসাজশ পাওয়া গেলে ‘যথোপযুক্ত’ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড।
রোববার তিনি বিবিসি টেলিভিশনকে বলেন, “প্রমাণের উপর ভর করে পুলিশ তদন্ত করছে। দেখা যাক প্রমাণ আমাদের কোথায় নিয়ে যায়।
“আমরা পুলিশকে তাদের মতো করে তদন্ত করতে বলেছি। কিন্তু যদি এর পেছনে বিদেশি রাষ্ট্রের হাত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে আমরা অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেব এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”