শুক্রবার রাতের ওই বিস্ফোরণ দুটিতে প্রাথমিকভাবে ১৮ জন নিহত হওয়া কথা জানানো হয়েছিল, কিন্তু শনিবার এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও একটি আবাসিক হোটেলের কাছে চালানো এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত সোমালীয় জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাব।
“গত রাতের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে, বিস্ফোরণে আরও ৩৬ জন আহত হয়েছেন,” রয়টার্সকে বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।
এর পাশাপাশি এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩৬ জনের মৃত্যুর কথা জানেন তিনি।
শনিবার পুলিশ কর্মকর্তা মেজর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহি রয়টার্সকে বলেছিলেন, “প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে গত রাতে সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও স্থানীয় এক কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এর চেয়ে বেশি সংখ্যক আহত হয়েছেন।
“তাদের অধিকাংশই ওই স্থানে থাকা প্রাসাদ রক্ষী ও কর্মকর্তাদের রক্ষী। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ওদিকে হোটেলে আরও অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন।
“তাই আমার জানা মৃতের মোট সংখ্যা ৩৬ জন এবং অন্য আরো অনেকে আহত হয়েছেন।”
শুক্রবার দেশটির অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ১৮ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল।
রয়টার্সের ছবিতে দেখা গেছে, হোটেলটির সামনে অন্তত পাঁচটি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে, পাশাপাশি হোটেলটির সীমানা দেওয়ালও ধসে পড়েছে।
আল শাবাব জানিয়েছে, হামলায় ৩৫ সৈন্য ও তাদের পাঁচ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
আশ শাবাবের সামরিক অভিযান বিষয়ক মুখপাত্র আব্দিয়াসিস আবু মুসাব বলেছেন, “দুই চালকসহ আমাদের পক্ষের পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। গত রাতের অভিযানে আমরা ৩৫ সৈন্যকে হত্যা করেছি। আমাদের মুজাহিদিনরা নিরাপদে ফিরে এসেছে।”
গত বছরের অক্টোবরে মোগদিশুতে আরেকটি জোড়া গাড়ি বোমা হামলায় পাঁচশরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও ২০০৭ সালে সোমালিয়ায় আল শাবাব তৎপরতা শুরু করার পর থেকে অক্টোবরের ওই বিস্ফোরণই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।