সরকারি এক কর্মকর্তা এবং একজন কূটনীতিক শুক্রবার একথা জানিয়েছেন। এফএটিএফ এর পাকিস্তানকে তালিকাভুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কূটনীতিক।
তালিকাভুক্তির আগে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে অর্থায়ন না করার তথ্যপ্রমাণ হাজির করে নজরদারি গোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করার জন্য তিনমাস সময় দেওয়া হয়েছে বলে খবর বেরোনোর কয়েকদিন পর নতুন এ খবর এল।
যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে পাকিস্তানকে এফএটিএফ তালিকায় রাখতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সন্ত্রাসে অর্থায়নের ব্যাপারে সংস্থাটির বিধিবিধান না নামলে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য প্রচার চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর সঙ্গে যোগ দেয় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানিও।
অন্যদিকে, পাকিস্তানও তালিকাভুক্তি এড়াতে শেষ মুহূর্তের প্রচার চালায়। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার দিনশেষেই পাকিস্তানকে ফের তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় এফএটিএফ। পাকিস্তানের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট এক কূটনীতিক একথা জানিয়েছেন।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে চীন, তুরস্ক এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) এ তালিকাভুক্তির বিরোধিতা করে পাকিস্তানকে বাঁচিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার চীন এবং জিসিসি’ও বিরোধিতা করা থেকে সরে আসে। এরপরই এফএটিএফ এর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসার কথা থাকলেও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খবরটি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। আবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের কর্মকর্তারাও বলছেন, সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত কিনা তা তারা এখনই বলতে পারছেন না।
পাকিস্তান এর আগে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর এফএটিএফ এর নজরদারি তালিকায় ছিল। এ সংস্থা বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মুদ্রা পাচারের ওপর নজর রাখে।
সংস্থাটির তালিকায় ফের পাকিস্তানের নাম উঠলে দেশটির অর্থনীতি ধাক্কা খাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের সম্পর্ক আরো অবনতির দিকে যাবে।