উত্তর কোরিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার পথে যুক্তরাষ্ট্র

পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ওপর চাপ বাড়াতে উত্তর কোরিয়ার ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2018, 06:19 AM
Updated : 23 Feb 2018, 06:19 AM

শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ নিষেধাজ্ঞার বিস্তারিত জানাবে বলে ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খবর রয়টার্সের।

এর আগে শুক্রবার সকালে কনজারভেটিভ পলিটিকাল কনফারেন্সেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

নতুন এ নিষেধাজ্ঞাকে 'উত্তর কোরিয়ার শাসনব্যবস্থার ওপর সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা' অ্যাখ্যা দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

কি ধরনের নিষেধাজ্ঞা, তা জানাননি তিনি। বিস্তারিতও জানাননি।

দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন শেষে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে জাপানের টোকিওতে দেওয়া বক্তৃতায় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও উত্তর কোরিয়ায় নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবারও ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিকাল কনফারেন্সে পেন্স উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার বোন কিম ইয়ো জংকে 'গ্রহের সবচেয়ে বর্বর ও নিপীড়ক শাসনব্যবস্থার অন্যতম কেন্দ্রীয় স্তম্ভ' অ্যাখ্যা দেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিম ইয়ো জং-ও উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরের শীর্ষ নেতার এ ছোটবোনকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন, যা ম্লান করে দেয় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিও।

শীতকালীন অলিম্পিকের সমাপনীতে অংশ নিতে ওয়াশিংটন এরই মধ্যে হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কার নাম ঘোষণা করেছে।

"আমরা একটি খুনী স্বৈরাচারিতন্ত্রের সামনে দাঁড়ানো। যতদিন উত্তর কোরিয়া অামাদের, মিত্রদের হুমকি দেয়া বন্ধ না করবে, অথবা যতদিন তারা তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ না করবে, ততদিন অামরা শক্ত হয়েই দাঁড়িয়ে থাকবো," বলেন পেন্স।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে বলেন, নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়ার ওপর কার্যকর প্রভাব রাখছে।

এর ফলে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যয় করার মতো অর্থ পিয়ংইয়ংয়ের থাকছে না, মন্তব্য হ্যালির।

ক্ষতি পোষাতে উত্তর কোরিয়া তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে বলেও দাবি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের এ রাষ্ট্রদূতের।

"তাদের রাজস্বের উৎসগুলো মৃতপ্রায় হয়ে যাচ্ছে। পিয়ংচ্যাংয়ে চিয়ার লিডার পাঠানোর কারণ তাদের হতাশা, জাতীয় গর্ব নয়," বলেন তিনি।