যৌন কেলেঙ্কারি: অক্সফামের নির্বাহীদের জেরা, ক্ষমা প্রার্থনা

যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা অক্সফামের হাইতি কার্যালয়ে কাজ করা কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা যৌন অসদাচরণের অভিযোগ নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি’দের জেরার মুখে পড়েছেন সংস্থাটির শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2018, 04:44 PM
Updated : 20 Feb 2018, 04:44 PM

মঙ্গলবার অক্সফামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  মার্ক গোল্ড্রিং এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ক্যারোলিন থমসনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কমিটির আইনপ্রণেতারা।

যৌন কেলেঙ্কারির জন্য অক্সফাম হাইতি সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পর সংস্থাটির কর্মকর্তারা জেরার মুখোমুখি হন। তাদেরকে অক্সফাম কর্মীদের আচরণ এবং সংস্থাটির সুরক্ষা নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

অক্সফামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালনা পরিষদের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাহী গোল্ড্রিং এবং উইনি বায়ানিয়ামা সংস্থার সুরক্ষা নীতি সমুন্নত রাখতে তাদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন।

হাইতিতে ২০১১ সালে ত্রাণকাজের সময় সেখানকার মানুষদের সঙ্গে অক্সফাম কর্মীরা যা করেছে এবং সংস্থার যে সুনামহানি করেছে সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন গোল্ড্রিং।

“যৌন কেলেঙ্কারির জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জ্বিত” বলেন, বায়ানিয়ামা। তিনি বলেন, “আমি নারীদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার থেকে জীবন কাটিয়ে দিয়েছি। দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করা মানুষদের জন্য লড়াই করেছি। আর সে কাজের ক্ষেত্রেই এ কেলেঙ্কারির ঘটনা আমার জন্য পীড়াদায়ক।”

অক্সফামের প্রায় ১০ হাজার কর্মী বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশে কাজ করছে।

২০১১ সালে হাইতিতে ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে  সেখানে ত্রাণ কাজ করতে যাওয়া অক্সফামের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে নারীদের যৌন নিপীড়নসহ সহ অন্যান্য অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তদন্তে উঠে এসেছে।

সংস্থাটির অভ্যন্তরীন এক তদন্ত প্রতিবেদনে আরো দেখা গেছে, কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তিন অক্সফাম কর্মী ওই সময় তদন্ত চলাকালে সাক্ষীদের মুখ বন্ধ রাখতে তাদেরকে মারধরের হুমকিও দিয়েছে।

চলতি মাসে ব্রিটেনের ‘টাইমস’ পত্রিকা হাইতিতে নিযুক্ত অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও কর্মীদের যৌন কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশের পর সংস্থাটিতে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।