বস্ত্র খাতের সমৃদ্ধির জন্য এবং দেশীয় ডিজাইনারদের সমর্থন দিতে সৌদি আরব এবার এ ফ্যাশন আয়োজনের স্বাগতিক দেশ হচ্ছে।
সোমবার সকালে লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ফ্যাশন সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি রাজকুমারী নউরা বিনতে ফয়সাল। তিনি একইসঙ্গে আরব ফ্যাশন কাউন্সিলের (এএফসি) অনারারি প্রেসিডেন্টও।
সৌদি আরবের ‘জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথোরিটির’ পক্ষ থেকে একটি চিঠি পড়ে নউরা বলেন, “সৌদি আরবে সৃজনশীল শিল্পগোষ্ঠীর প্রসার ঘটেছে। ফ্যাশন ডিজাইনাররা বেশ কয়েকবছর ধরেই আস্থার সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ফ্যাশন সপ্তাহের মধ্য দিয়ে তারা তাদের সেই শৈল্পিক কাজগুলো প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন এবং এতে বিনোদোনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেই জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথোরিটি মনে করে। এ ধরনের আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক হতে পেরে তারা গর্বিত।”
রাজধানী রিয়াদের অ্যাপেক্স সেন্টারে আগামী ২৬ মার্চে পর্দা উঠবে ‘আরব ফ্যাশন কাউন্সিল’ আয়োজিত এ ফ্যাশন সপ্তাহের। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
এ প্রদর্শনীতে শুধু আরব দেশগুলো নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ডিজাইনাররাও অংশ নিতে পারবেন।
আরব ফ্যাশন কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর লায়লা ইসা আবুজাইদ বলেছেন, “এটি কেবল শুরু। রিয়াদে প্রথমবারের মত এ আরব ফ্যাশন সপ্তাহ অনুষ্ঠানের পথ ধরে আমরা এরপর বিশ্ব মানের ফ্যাশন সপ্তাহ আয়োজন করব। এ ধরনের আয়োজন কেবল ফ্যাশন খাত নয়, দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক খাত যেমন: পর্যটন, ভ্রমণ ও বাণিজ্য খাতকেও সমৃদ্ধ করবে বলেই আমরা মনে করি।”
কড়া ইসলামিক অনুশাসনের দেশ সৌদি আরবে বদলের যে হাওয়া বইছে তার সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে এ ফ্যাশন সপ্তাহ।
এর আগে সৌদি আরব সরকার দেশের নারীদের গাড়ি চালানো, স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখা, কনসার্টে অংশ নেওয়া এমনকি পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসা করারও অনুমতি দিয়েছে।