প্রতিনিধিরা বিরোধীদলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে মালদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা শুনেছেন।
মালদ্বীপের ক্ষমতাসীন দল ‘প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপস’ নেতাদের সঙ্গেও ইইউ প্রতিনিধিরা দেখা করেছেন বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এন.মিহারু.কম।
তবে বৈঠক সম্পর্কে খবরে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বেড়েছে।
আদালত-সরকার দ্বন্দ্বের জেরে গত সোমবার ইয়ামিন দেশজুড়ে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ দুই বিচারক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল্লাহ গাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনো জরুরি অবস্থার মধ্যে মালদ্বীপে ধরপাকড় চলছে।
বুধবার মালদ্বীপের জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এক বিবৃতিতে ইইউ মুখপাত্র বলেন, “জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণে মালদ্বীপের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইনও মালদ্বীপে জরুরি অবস্থাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর পুরোদস্তুর আক্রমণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এরই মধ্যে মালদ্বীপ সরকারের কাছে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
ওদিকে, মালদ্বীপের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে চীন, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মত বন্ধু দেশগুলোতে দূত পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন।
তার ওয়েবসাইটে বুধবার এক পোস্টে বলা হয়েছে, ইয়ামিন তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মোহাম্মদ সাইদকে চীনে পাঠিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আসিমকে পাকিস্তানে এবং কৃষি ও মৎস সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ শাইনিকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন।