ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার কাবুলের দূতাবাস এলাকায় মাদক ও অ্যালকহলের বিরুদ্ধে অভিযান চলছিল। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীদের একটি দলের কাছে এক ব্যক্তি আত্মঘাতী হামলা চলায়।
‘আমাক’ এ দেওয়া এক বিবৃতিতে আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “কাবুলে এক আত্মঘাতী হামলাকারী পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরকভর্তি একটি ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে ৮০ জনের কাছাকাছি হতাহত হয়েছে।”
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের কাছের একটি হাসপাতালে ১১টি মৃতদেহ এবং আহত ২৫ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আত্মঘাতী হামলাকারী নিরাপত্তাবাহিনীর পোশাক পরে ছিলেন। যদিও পুলিশ রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র বশির মুজাহিদ বলেন, “সম্ভাব্য বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে ছিলেন, তখনই আত্মঘাতী হামলাকারী তাদের দিকে এগিয়ে আসে এবং ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটায়।”
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে তাদের সামরিক কৌশল বদলের ঘোষণা দেওয়ার পর মার্কিন মদদে আফগান বাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতির দাবি করলেও সম্প্রতি কাবুলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে।
কয়েকদিন আগে কাবুলের মধ্যাঞ্চলে একটি শিয়া কালচারাল সেন্টারে আত্মঘাতী হামলায় ৪১ জন নিহত ও ৮০ জনের বেশি আহত হন।
ওই হামলার দায় স্বীকার করেও বিবৃতি দিয়েছিল আইএস।
আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিরা শক্তিশালী হলেও গত দুই বছর ধরে দেশটিতে বেশ কয়েকটি বড় বড় হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ইরাক ও সিরিয়ায় পরাজিত জঙ্গি দলটি আফগানিস্তানে শক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে।