মঙ্গলবার ভোররাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এসব হত্যাকাণ্ডের পর পালওয়াল শহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, সবগুলো হত্যাকাণ্ডই ভোররাত আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে হয়েছে।
খুনের ঘটনাগুলো শহরের আলাদা আলাদা জায়গায় ঘটলেও যে ব্যক্তিকে তারা গ্রেপ্তার করেছে সেই হামলাগুলো চালিয়েছে বলে বিশ্বাস পুলিশের।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ হতে পারে বলেও মনে করছে তারা।
তার নাম নরেশ ধনকাদ এবং সে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখন সে হারিয়ান কৃষি বিভাগ চাকরি করে বলে জানিয়েছে তারা।
ওই ব্যক্তি প্রথমে এক হাসপাতালে এক নারীকে খুন করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর শহরের আগ্রা রোড ও মিনার গেটের মধ্যবর্তী এলাকায় দুই নিরাপত্তা রক্ষীসহ আরো চারজনকে খুন করেন। শেষে আরেক নিরাপত্তা রক্ষীকে খুন করেন।
পুলিশের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজে নীল সুয়েটার ও সাদা প্যান্ট পরা নরেশকে একটি দরজা দিয়ে হাসপাতালের বারান্দার মতো দেখতে একটি জায়গায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। ভোররাত আড়াইটার একটু পরে রেকর্ড করা ওই ভিডিওতে তাকে রড হাতে ওই বারান্দায় প্রবেশ করে এদিক-ওদিক তাকাতে দেখা গেছে।
প্রথম খুন হয়েছেন যে নারী, তিনি হাসপাতালটির প্রথম তলাতে আইসিইউ এর সামনে নিহত হয়েছেন। ননদের ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী।
সংবাদ সম্মেলনে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “পুলিশ সবগুলো মৃতদেহই দুই কি তিন কিলোমিটারের ব্যবধানে খুঁজে পেয়েছে। মনে হচ্ছে, এক ঘন্টার মধ্যেই খুনগুলো করেছে সে। সতকর্তা হিসেবে লোকজনকে বাসায়ই অবস্থান করতে বলেছি আমরা।”
পালওয়ালের আদর্শ নগর এলাকায় থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের যে দলটি তাকে গ্রেপ্তার করে তাদের ওপরও হামলা করেছিল সে।
গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রথমে শহরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে সেখান থেকে তাকে একই রাজ্যের বড় শহর ফরিদাবাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।