দক্ষিণ কোরিয়া গতমাসে জাহাজটি আটক করে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘লাইটহাউজ উইনমোর’ নামক এ জাহাজটি উত্তর কোরিয়ার জাহাজে গোপনে ৬শ’ টন পরিশোধিত তেল সরবরাহ করেছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার আওতায় পিয়ংইয়ংয়ের জন্য জাহাজ থেকে জাহাজে কোনওরকম পন্য সরবরাহ নিষিদ্ধ।
জাতিসংঘের এ নিষেধাজ্ঞার পরও উত্তর কোরিয়ার কাছে চীন গোপনে তেল বিক্রি করছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগের পরপরই দক্ষিণ কোরিয়া জাহাজ আটকের এ খবর জানাল।
দেশটির ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জাহাজটি ১১ অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়েওসু বন্দরে ঢোকে। সেখান থেকে পরিশোধিত তেল নিয়ে চারদিন পর এটি তাইওয়ানের উদ্দেশে রওনা দেয়।
কিন্তু পরে তাইওয়ানে না গিয়ে জাহাজটি ১৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় উত্তর কোরিয়াসহ অন্য আরো তিনটি জাহাজে ওই তেল সরবরাহ করে।
তেল সরবরাহের দৃশ্য যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকা। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয় নভেম্বরে ছবিগুলো প্রকাশ করে। তবে তারা জাহাজের নাম বলেনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, ২৪ নভেম্বরে লাইটহাউজ উইনমোর ইয়েওসু বন্দরে ফিরে আসলে এটিকে আটক করা হয়।
জাহাজটির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে এবং এর ক্রুরা দক্ষিণ কোরিয়ার কাস্টডিতে আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, জাহাজটিতে ২৩ চীনা ও ২ বার্মিজ নাগরিক আছেন। তদন্ত শেষ হলেই তাদেরকে চলে যেতে দেওয়া হবে।