লি আর মিয়ানমারে ঢুকতে পারবেন না বলে বুধবার জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয়।
এক বিবৃতিতে কার্যালয় বলেছে, “জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি তার মেয়াদকালে আর কেনোভাবেই মিয়ানমারে ঢুকতে পারবেন না এবং কোনো সহযোগিতাও পাবেন না বলে মিয়ানমার সরকার জানিয়ে দিয়েছে।”
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ মিয়ানমারের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে আগামী জানুয়ারি মাসেই দেশটিতে যাওয়ার কথা ছিল লি’র।
এখন মিয়ানমার সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় ‘এ ইঙ্গিতই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, রাখাইন প্রদেশে নিঃসন্দেহে ভয়াবহ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে’ বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন লি।
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগ আছে। নিপীড়নের মুখে রোহিঙ্গারা দলে দলে রাখাইন ছেড়ে পালানোর পরও মিয়ানমার সরকার সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা মিতসঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে (এমএসএফ) গত সপ্তাহেই একটি হিসাব দিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে মিয়ানমারে গত অগাস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর একমাসেই অন্তত ৬ হাজার ৭'শ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ দূত ইয়াংহি লি সর্বশেষ মিয়ানমারে গিয়েছিলেন গত জুলাইয়ে। এরপরই রাখাইনে সহিংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা পালাতে শুরু করে।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে পূর্ণ প্রতিবেদন তৈরির জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূতকে বছরে অন্তত দুবার কোনো দেশে সফর করতে হয়।
ইয়াংহি লি ২০১৪ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ছয়বার মিয়ানমার সফর করেছেন। তবে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলে মিয়ানমার তাকে সবসময় অবাধে কাজ করার সুযোগ দেয়নি।
আর এবার মিয়ানমার দেশটিতে লি’র প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে আরো একধাপ কড়া পদক্ষেপ নিল।