নিজে যুক্তরাষ্ট্র থেকে না ফেরার পাশাপাশি ইরাক থেকে তার পরিবারও পালিয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট খবর দিয়েছে।
গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় মিস ইসরায়েল অ্যাডার গান্ডেসমানের সঙ্গে নিজের সেলফি ইনস্টাগ্রামে তুলেছিলেন ইদান।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আরও অনেকের সঙ্গে সেলফি ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুললেও মিস ইসরায়েলের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় ইদানের দেশ ইরাকে।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে আচরণের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোর চক্ষুশূল ইসরায়েল। সেই দেশটির সুন্দরীর সঙ্গে স্বদেশী সুন্দরীর ছবি তোলা ভালোভাবে নেয়নি ইরাকবাসী।
এর আগে দুজন মিস লেবানন মিস ইসরায়েলের সঙ্গে ছবি তুলে একই ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন।
ইদান ছবিটি ইনস্টাগ্রামে তোলার পর ৫ হাজারের বেশি লাইক পড়লেও তির্যক মন্তব্যও আসতে থাকে।
এর মধ্যেই ইরাকে নিজের পরিবারকে হুমকি দেওয়া শুরু হয় বলে ইনডিপেন্ডেন্টকে জানান ইদান।
তিনি বলেন, “হত্যার হুমকির পর আমার পরিবার ইরাক ছেড়েছেন।”
তবে এখন তারা কোন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তা বলেননি ইদান।
ওই ছবিটির পাশাপাশি ইদানের বিকিনি পরা একটি ছবি নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ইরাকে।
ইসরায়েল সুন্দরী গান্ডেসমান ইসরায়েলি টিভিকে বলেছেন, এই দুটি ঘটনা ইদানের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। অব্যাহত হুমকির মুখে তার দেশে ফেরা কিংবা তার পরিবারের দেশে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ছবিটি ইনস্টাগ্রামে তোলার সময় ইদান লিখেছিলেন- “ইমস ইরাক ও মিস ইসরায়েলেরর পক্ষ থেকে শান্তি এবং ভালবাসা।”
তিনি দাবি করেছেন, দুই দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে আকাঙ্ক্ষা, তা বোঝাতেই ছবিটি তুলেছিলেন তিনি।
সমালোচনার জবাবে ২৭ বছর বয়সী ইদান লিখেছেন, “এর মানে এই নয় যে আমি ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন দিচ্ছি কিংবা আরবদের বিষয়ে তাদের নীতিকে মেনে নিচ্ছি।”
ফিলিস্তিনিদের কথা মনে রেখে যারা এই ছবিটির সমালোচনা করছেন, তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।