নেপালের ভোটে জয়ের পথে বাম জোট

নেপালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ের পথে রয়েছে  সাবেক মাওবাদী এবং মধ্যপন্থী কমিউনিস্টদের নিয়ে গঠিত বামধারার জোট।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2017, 04:35 PM
Updated : 11 Dec 2017, 08:28 AM

যদিও ভোট গণনা এখন চলছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট’।

এ নির্বাচনকে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি এবং গৃহযুদ্ধ অবসানের পর গণতন্ত্রের পথে নেপালের যাত্রা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

প্রথম দফায় গত ২৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গণনায় দেখা যাচ্ছে, নেপালি কংগ্রেস ধরাশায়ী হয়েছে আর সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়েছে বাম জোট।

নেপালের নির্বাচন কমিশন থেকে এ পর্যন্ত ৩৩টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে বামপন্থি জোট ২৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। তারমধ্যে  কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনিফাইড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট (সিপিএন-ইউএমএল)  ২১টি এবং তাদের অংশীদার সিপিএন মাওইস্ট-সেন্টার ৬টি আসন পেয়েছে।

এছাড়া, নেপালি কংগ্রেস (এনসি) ৫টি আসনে এবং ১ টি স্বতন্ত্র আসন জয় পেয়েছে।

প্রায় আঠারো বছর পর নেপালের জনগণ এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি নির্বাচন করা হচ্ছে।

এ নির্বাচন হিমালয়ের কোলে থাকা ছোট্ট এই দেশটিতে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা জনগণের।

২০০৬ সালে নেপালে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষ হয়। আর ২০০৮ সালে দেশটিতে রাজতন্ত্রের অবসান হয়।

পরবর্তীতে নেপালে গণতন্ত্রের রূপান্তর প্রক্রিয়ায় ২০১৫ সালে নতুন সংবিধান ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ পর্যায়ে এটিই প্রথম নির্বাচন।

এ নির্বাচনে জাতীয় পর্যায়ে ১৬৫ এমপি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন। নিম্নকক্ষের বাকি ১১০জন প্রতিনিধি দলগুলো থেকে দেওয়া তালিকার সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচিত হচ্ছেন। যেখানে দল মোট কত ভোট পেয়েছে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।

একই ভাবে সাতটি প্রাদেশিক পরিষদে ৩৩০ জন সদস্য সরাসরি ভোটে এবং বাকি ২২০ জন দলগুলো থেকে দেওয়া তালিকার সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস নেপালের নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছেন।

গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, “এই ভোট নেপালের ঐতিহাসিক মুহূর্তে পরিণত হয়েছে।”