শনিবার মিশরের কায়রোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে ‘ধিক্কারের মধ্যে’ পেন্সের সঙ্গে দেখা করবেন না ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট।
চলতি মাসে পেন্সের এ সফর হওয়ার কথা। সফরের সময় ১৯ ডিসেম্বর তার সঙ্গে মাহমুদ আব্বাসের বৈঠক নির্ধারিত ছিল।
মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মিনা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রতিবাদে পেন্সের মিশর সফরের সময় তার সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে দেশটির কপটিক গির্জা।
এক বিবৃতিতে মিশরের কপটিক গির্জা পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে লাখ লাখ আরবের অনুভূতি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।”
২০ ডিসেম্বর পেন্সের কায়রো সফরের কথা রয়েছে।
শুক্রবার কায়রোর আল আজহার মসজিদের প্রধান ইমাম জানিয়েছেন, তিনিও পেন্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না।
এই সফরে পেন্স ইসরায়েলেও যাবেন এবং ফিলিস্তিনের শহর বেথেলহেমে যাত্রা বিরতি করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দশকের পর দশক ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান ধরে রেখেছিল তা বদলে দিয়ে বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। তার এ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় গাজা, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষ অব্যাহত আছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
যদিও আগের দু্ইদিনের তুলনায় এদিনের সংঘর্ষের মাত্রা ছিল কম। গাজা ও ইসরায়েল সীমান্তে অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি যুবক ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর ছুঁড়েছে। ইসরায়েলের পাল্টা গুলিতে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোজেনফেল্ড জানান, ১৩ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; প্রতিবাদকারীদের পাথরে চার কর্মকর্তা আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। আগের দিন ফিলিস্তিনিদের ডাকা ‘ক্ষোভ দিবসে’ ইসরায়েলের দিকে ছোড়া তিনটি রকেটের প্রতিক্রিয়ায় অস্ত্র গুদাম, সামরিক কম্পাউন্ড ও দুটি অস্ত্র তৈরির কারখানায় এ হামলা হয় বলে জানিয়েছে তেলআবিব।
হামাস ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।