ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন বলে বুধবার জানান মার্কিন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় গুরুত্বপূর্ণ এক ভাষণেই ট্রাম্পের এ ঘোষণা দেওয়ার কথা।
সেইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেবেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
যদি তাই হয় তবে যুক্তরাষ্ট্রই হবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশ।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি ম্যানুয়েল হাসাসিয়ান বিবিসি’কে বলেন, জেরুজালেম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ায় 'দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধান’ প্রচেষ্টায় ‘মরণছোবল’ দেওয়া এবং ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ সামিল।
ওদিকে, ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত্তে উল্লাস প্রকাশ করে অন্যান্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এ পদক্ষেপে ইসরায়েলের শত্রুরা মেনে নিতে বাধ্য হবে যে জেরুজালেম কখনও বিভক্ত হবে না।”
যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য দেননি।
পোপ ফ্রান্সিস জাতিসংঘ প্রস্তাবনা অনুসারে জেরুজালেমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জেরুজালেমের বিষয়টি কথা বলবেন। পার্লামেন্টে তিনি বলেন, জেরুজালেম নিয়ে যুক্তরাজ্য অবস্থান বদলায়নি।
“নগরীটির মর্যাদা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করা উচিত এবং এটিকে ইসরায়েল ও ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ভাগ করে দেওয়া উচিত।”
ইসরায়েল বরাবরই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের নেতারা পুর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চায়।
ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ১৯৪৮ সালে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্রই হবে এমন স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশ।