জার্মানিতে ফ্যাসিবাদবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

জার্মানির হ্যানোভার শহরে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2017, 09:08 AM
Updated : 3 Dec 2017, 09:22 AM

বিক্ষোভকারীরা কট্টর ডানপন্থি অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সম্মেলনে বাধা দিতে গেলে এই সংঘর্ষ বাধে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জার্মান পার্লামেন্টে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর শনিবারই ছিল দলটির প্রথম সম্মেলন।

সম্মেলন প্রতিহত করতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর হ্যানোভারে শনিবার ৫টি আলাদা বিক্ষোভের ডাক দেয় ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠী। এর মধ্যে অভিবাসন সমর্থকদের একটি র‌্যালিতে ৬ হাজারের বেশি মানুষ যোগ দেন। ট্রেড ইউনিয়নের একটি র‌্যালিতে পরের দিকে আরও কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে পড়া এএফডির ৬০০-র মতো প্রতিনিধির সম্মেলনস্থলে যাওয়া নিশ্চিত করতে হ্যানোভার পুলিশ ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ওপর চড়াও হয়। শূন্য সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রার মধ্যেও তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, লাঠি ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে।

সংঘর্ষে ব্যারিকেডের সঙ্গে নিজেকে শেকল দিয়ে আটকে রাখা এক বিক্ষোভকারীর পা ভাঙে বলে রয়টার্স জানিয়েছে; উড়ে আসা বোতলে হাতে আঘাত পেয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে ১০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের বাধায় দেরিতে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে প্রতিনিধিরা ইয়ুর্গ ময়েথেন ও আলেকজান্ডার গাউল্যান্ডকে দলের পরবর্তী নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন।

কট্টরপন্থি এই দুই রাজনীতিককে শীর্ষপদে নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে এএফডি আরও ডানপন্থি অবস্থান নেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।  

ইউরোবিরোধী, অভিবাসন ও মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কট্টর সমালোচক দলটির বার্লিনের নেতা ও কিছুটা উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত গিওর্গ পাজদর্শি দলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও প্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় সমর্থন পাননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এর আগে কখনোই জার্মান পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব না থাকলেও সেপ্টেম্বরের সংসদ নির্বাচনে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে এএফডি অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেট অ্যালায়েন্স ও সোশাল ডেমোক্রেট এসপিডির পর তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।

সরকার গঠনে জটিলতায় পড়া মের্কেল যদি তার দলের সঙ্গে এসপিডির জোট বাধতে সম্মত হন, তাহলে ৯৪ সাংসদ নিয়ে এএফডি বুন্দেসট্যাগে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের পর দলের শীর্ষ নেতা ফ্রক পেট্রির আকস্মিক পদত্যাগের পর নতুন নেতৃত্ব ও কর্মপন্থা ঠিক করতে ডিসেম্বরে সম্মেলন ডাকে কট্টর ডানপন্থি এ দল।