মুগাবের পদত্যাগের সময়সীমা পেরুল

দলীয় প্রধানের পদ থেকে বহিষ্কারের পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে পদত্যাগের জন্য ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টির বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। আসেনি কোনও বিবৃতি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2017, 11:49 AM
Updated : 20 Nov 2017, 11:49 AM

ফলে মুগাবেকে দেওয়া আল্টিমেটাম অনুযায়ী এখন দলের সদস্যরা তাকে অভিশংসন করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে মুগাবেকে তার দল সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে দেওয়া হয়েছিল অভিশংসনের হুমকি।

কিন্তু এর পরপরই টিভিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন এক টানা ৩৭ বছর প্রেসিডেন্টের পদে থাকা মুগাবে। যদিও মুগাবের ভাগ্য নির্ধারণী আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সিএনএন’ কে বলেছেন, মুগাবে পদত্যাগে রাজি আছেন এবং তার একটি খসড়া পদত্যাগপত্রও তৈরি করা হয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে মুগাবেকে পদত্যাগ করতে হলে প্রথমে একটি পদত্যাগপত্র পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে পাঠাতে হবে।

কিন্তু মুগাবে ভাষণে পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে কিছু না বলায় তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। পদত্যাগ না করলে তাকে অভিশংসন করার পক্ষে মত দিয়েছে জানু-পিএফ পার্টি।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর পরপরই এ অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

রবার্ট মুগাবে এখনও জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট পদে থাকলেও শাসন ক্ষমতা আপাতত তার হাতছাড়া রয়েছে সামরিক বাহিনী সরকারের দখল নিয়ে নেওয়ায়।

রোববার জানু-পিএফ পার্টির বিশেষ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে মুগাবেকে দলীয় প্রধানে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাওয়া তার স্থলাভিষিক্ত হন।

স্বাধীন হওয়ার পর গত ৩৭ বছর ধরে জিম্বাবুয়ে শাসন করছেন সাবেক এই গেরিলা নেতা। কিন্তু সম্প্রতি জানু-পিএফ পার্টির উত্তরসূরী নিয়ে দলের ভেতরে কোন্দল শুরু হয়।

এ মাসের শুরুর দিকে মুগাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দলীয় পদ থেকে এমারসন নানগাওয়াকে বহিষ্কার করেন। অথচ এই নানগাওয়াকে একসময় মুগাবের উত্তরসূরি বিবেচনা করা হত, তাকে বহিষ্কারের পর সে জায়গায় মুগাবের স্ত্রী গ্রেসের নাম চলে আসে।

এ নিয়ে দলীয় কোন্দলের মধ্যেই গত বুধবার সেনাবাহিনী জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় এবং মুগাবেকে গৃহবন্দি করে।

শুক্রবার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জানু-পিএফ পার্টির পক্ষ থেকেও জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা হারানো এই নেতাকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়।