ট্রাম্প প্রশাসনের হয়ে উত্তর কোরিয়া যেতে চান জিমি কার্টার

দু’দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা নিরসনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়া সফরে যেতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2017, 03:23 PM
Updated : 22 Oct 2017, 03:23 PM

রোববার ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে জর্জিয়ার প্লেইনস এলাকায় নিজ বাড়িতে বসে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে  সাক্ষাৎকার দেন ৯৩ বছর বয়সী কার্টার। আর সেখানেই এখন আরেক কূটনৈতিক মিশনের সময় কিনা এবং ট্রাম্পের পক্ষ হয়ে তা পালন করবেন কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে কার্টার উত্তর কোরিয়া যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, “হ্যাঁ, আমি যাব।”

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য জিমি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে কার্টার বলেন, উত্তর কোরিয়া সফরের বিষয়টি নিয়ে তিনি তার বন্ধু ও ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ. আর ম্যাকমাস্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে নেতিবাচক বার্তাই পেয়েছেন তিনি।

কার্টার বলেন, “আমি তাকে (ম্যাকমাস্টার) বলেছিলাম, যেকোনও সময় তাদের প্রয়োজন পড়লে আমি প্রস্তুত আছি।”

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাগযুদ্ধে ওয়াশিংটনের অনেকেই উদ্বিগ্ন- সাংবাদিকদের এমন কথার প্রেক্ষিতে কার্টার বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে আমিও আতঙ্কিত।’

তিনি আরও বলেন, “তারা নিজেদের শাসন টেকাতে চায়। আর আমরা উত্তর কোরিয়ার ওপর (বিশেষত কিমের) চীনের প্রভাবকে অতি মূল্যায়িত করছি।”

কিম জং-উনের কর্মকান্ড সম্পর্কে আঁচ করা কঠিন উল্লেখ করে কার্টার বলেন, কিম যদি মনে করেন ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে কাজ করবেন, তাহলে তিনি আগ বাড়িয়েই কোনও অঘটন ঘটাতে পারেন।

কার্টার এও মনে করেন, কিমের হাতে এখন এমন কিছু আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে কোরিয়া উপদ্বীপ, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু অঞ্চল এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের মূলভণ্ডও লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া সম্ভব।

কার্টার এর আগে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আপত্তি ঠেলে উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন এবং উত্তর কোরিয়ার তৎকালীন নেতা কিম ইল-সাংয়ের (বর্তমান নেতা কিমের পিতামহ) সঙ্গে চুক্তিও করেছিলেন।