বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, “সংঘর্ষ এবং পরবর্তী সেনা অভিযানে প্রায় ৩৭০ রোহিঙ্গা চরমপন্থি নিহত হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪ জন, দুইজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ১৪ জন বেসামরিক নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছে।”
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম নাফ নদী ও স্থল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশ অংশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীদের গুলি করার ঘটনাও ঘটেছে।
সেনাবাহিনীর দাবি, ‘চরমপন্থি জঙ্গিদের’ বিরুদ্ধে তারা দমন অভিযান চালাচ্ছে। তাদেরকে বেসামরিক মানুষদের ‘সুরক্ষার নির্দেশ’ দেওয়া হয়েছে।
গত বছর অক্টোবরে তিনটি সীমান্ত পুলিশ পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় নয় পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু করে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকার।
সেখানে অনুমতি ছাড়া সাধারণ মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের অভিযোগ তোলে।
এর আগে, ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতউইতে রোহিঙ্গা মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রায় ২০০ মানুষ প্রাণ হারায়,সেবার বাস্তুচ্যুত হয়েছিল প্রায় দেড় লাখ মানুষ।