যুক্তরাষ্ট্র নেটো সদস্যদের সামরিক ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানোর যে দাবি তুলেছে তার কাছে ইউরোপের কোনওভাবেই মাথা নত করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। নিরাপত্তা কেবল সামরিক বিষয়ই নয়, উন্নয়ন এবং মানবিক ত্রাণও এর আওতাভুক্ত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেটো কে ‘সেকেলে’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং এ প্রতিরক্ষা জোটে ইউরোপীয় দেশগুলো সামরিক ব্যয় না বাড়ালে তাদের জন্য নিরাপত্তা সুরক্ষা কমানোর হুমকি দিয়েছেন।
নেটোতে যুক্তরাষ্ট্রই ৭০ শতাংশ তহবিলের যোগান দেয়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বুধবার নেটো মিত্রদেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সুরক্ষা ঠিকমত পেতে হলে তাদেরকে সামরিক ব্যয় বাড়াতে হবে।
এরই প্রতিক্রিয়ায় মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে ইইউ এর ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইয়োঙ্কার বলেন, “বহু বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র এ বার্তাই দিয়ে আসছে। আমি এ চাপের কাছে আমাদের মাথা নত করার ঘোর বিরোধী।”
তিনি বলেন, “আমাদের আমেরিকান বন্ধুদের নিরাপত্তার ধারণাকে সামরিক ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলাটা আমি পছন্দ করি না।” বরং কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে একটি আধুনিক নিরাপত্তা নীতি নেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেন ইয়োঙ্কার।
তিনি বলেন, “আপনি যদি দেখেন প্রতিরক্ষায় ইউরোপ কি করছে, সেইসঙ্গে উন্নয়নে তাদের অবদান কি, একইসঙ্গে মানবিক ত্রাণের ক্ষেত্রে তারা কি করছে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়ের তুলনামূলক ফারাকটা বোঝা যাবে।”