মঙ্গলবার প্রকাশিত ৬৮৮ পৃষ্ঠার এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনিস্টিটিউট।
৭০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ গবেষণা প্রতিবেদনটি পর্যালোচন করেছেন।
ধূমপানের পেছনে প্রতি বছর মোট যে পরিমাণ খরচ হয় তা তামাকজনিত করের আয়কে বহুগুণ ছড়িয়ে গেছে। ডব্লিউএইচও এর হিসাবে ২০১৩-২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী তামাকজনিত কর থেকে প্রায় ২৬৯ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “২০৩০ সাল নাগাদ তামাকজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বর্তমানের বার্ষিক ৬০ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ লাখে পৌঁছবে। এসব মৃত্যুর ৮০ শতাংশ ঘটবে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে।”
নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতেই বিশ্বের ৮০ শতাংশ ধূমপায়ীর বসবাস। মানুষের মধ্যে ধূমপানের প্রভাব হ্রাস পেতে থাকলেও বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
বিশ্বে মৃত্যুর প্রতিরোধযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বড় তামাক ব্যবহারজনিত কারণ।
“এর কারণে প্রতিবছর এক লাখ কোটি ডলারেরও বেশি চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়,” প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
তামাকের ব্যবহার ও তৎজনিত মৃত্যু হ্রাস করার উপায় সরকারগুলোর হাতে থাকলেও অধিকাংশ সরকার এসব উপায় কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হচ্ছে, ফলে ধূমপানজনিত কারণে ব্যয় বাড়তেই থাকবে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, “সরকারগুলো শঙ্কা, তামাকের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলে তা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু তাদের এ ধরনের মনোভাবের পক্ষে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই বিষয়টি পরিষ্কার, পদক্ষেপ নেওয়ার এটিই উপযুক্ত সময়।”