ট্রাম্প-হিলারি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে জনমত জরিপে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবধান অনেকটাই কমে যাওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2016, 02:38 PM
Updated : 5 Nov 2016, 02:29 AM

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোস পরিচালিত ‘স্টেটস অব দ্য ন্যাশন’ জরিপের ফলে দেখা গেছে, ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় দুই প্রার্থী সমান অবস্থানে রয়েছেন।

গত সপ্তাহে দোদুল্যমান কয়েকটি রাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দৌড়ে দুই প্রার্থীর ব্যবধান কমে এসেছে। মিশিগানে হিলারির সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবধান অনেকখানি কমেছে। ওদিকে, পেনসিলভানিয়ায় জরিপ ফল হিলারির দিকে ঝুঁকছে।

৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

দেশটির বড় দুই দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর জনমত জরিপগুলোতে হিলারি প্রায় সবসময়ই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে ট্রাম্প ব্যবধান কমিয়ে আনতে শুরু করেন।

ট্রাম্পের এখন নির্বাচনে জয়লাভের বিশ্বাসযোগ্য সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

ট্রাম্প ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলাইনা উভয় অঙ্গরাজ্যে জয়লাভ করলে তার হোয়াইট হাউজে প্রবেশের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। অন্যদিকে, ওই দুইটি অঙ্গরাজ্যে হিলারি হারতেও পারেন আবার জিততেও পারেন।

জিততে হলে একজন প্রার্থীকে অন্তত ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে। সর্বশেষ জরিপে হিলারির ২৫৬টি সলিড ইলেক্টোরাল ভোট এবং মোট ৩০২ ভোট জয়ের সম্ভাবনার ফল পাওয়া গেছে, ট্রাম্প ২৩৬ ভোট পেতে পারেন।

যেখানে গত সপ্তাহের জরিপে হিলারির ২৭৮টি সলিড ইলেক্টোরাল ভোট এবং মোট ৩২০ ভোটে জয়ের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল, ট্রাম্পের ২১৮ ভোট পাওয়া কথা বলা হয়েছিল। সে হিসাবে যে কোনো দিক দিয়েই গত সপ্তাহ থেকে ট্রাম্প নিজের অবস্থান উন্নত করেছেন।

রয়টার্সের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে ২৪টি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের সমর্থক বেড়েছে, কমেছে ১১টি অঙ্গরাজ্যে। অন্যদিকে, ১৩টি অঙ্গরাজ্যে হিলারির সমর্থন বেড়েছে, কমেছে ২২টিতে।

গত শুক্রবার এফবিআই পরিচালক জেসম কোমি হিলারির পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে রাষ্ট্রী ইমেইল আদান-প্রদান নিয়ে নতুন করে তদন্তের ঘোষণা দেন।

প্রায় এক বছরের তদন্ত শেষে গত জুলাইয়ে এফবিআই হিলারির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করে। এজন্য হিলারিকে তিরস্কার করা হলেও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন এফবিআই পরিচালক কোমি।

হিলারির ইমেইল নিয়ে নতুন করে আবার তদন্তের ঘোষণা তার জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কোমির শুক্রবারের ঘোষণার পর ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান শিবির হিলারির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

অন্যদিকে, হিলারি শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে এফবিআই এর এ ধরনের ঘোষণা অন্যায্য এবং এটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

এফবিআই এর এই ঘোষণা নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট বোঝা না গেলেও গত শুক্রবারের ওই ঘোষণার পর মতামত জরিপগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

গত সপ্তাহে সবগুলো জনমত জরিপ মিলিয়ে গড়ে ৪ থেকে ৭ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। কিন্তু এ সপ্তাহের জরিপে হিলারি-ট্রাম্পের ব্যবধান কমে মাত্র ২ থেকে ৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।