নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাহত হওয়া ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি ফের কথা বলতে পারছেন বলে তার এজেন্ট ও শাটাকোয়া ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে এই শাটাকোয়া ইনস্টিটিউটেই ৭৫ বছর বয়সী রুশদি হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তার এজেন্ট অ্যান্ড্রু উইলি মার্কিন গণমাধ্যমকে রুশদির ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া ও কথা বলতে পারার কথা নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আগের দিন শুক্রবার উইলি বলেছিলেন, রুশদির অবস্থা ভালো নয় এবং তিনি এক চোখ হারাতে পারেন।
অনেক মুসলমানের কাছে আপত্তিকর ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসের জন্য বছরের পর বছর হুমকি মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন রুশদি।
তার ওপর হামলাকারীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে; শনিবার আদালতে তোলা হলে তিনি নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেন।
২৪ বছর বয়সী হাদি মাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দৌড়ে মঞ্চে গিয়ে রুশদির মুখমণ্ডল, ঘাড় ও পেটে অন্তত ১০ বার ছুরি মেরেছেন।
এতে তার এক বাহুর স্নায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন উইলি।
রুশদি এক চোখ হারাতে পারেন বলেও সেসময় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
ঔপন্যাসিকের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার খবর না মিললেও অনেক লেখক ও বুদ্ধিজীবী তাদের টুইটে ‘রুশদি কথা বলতে পারছেন’ জেনে তাদের স্বস্তির কথা লিখেছেন।
শাটাকোয়া ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট মাইকেল হিলও টুইটারে একই খবর দিয়েছেন।
রুশদির ওপর এই হামলাকে মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে রাজনীতিক, লেখক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ অসংখ্য মানুষ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।