দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জো বাইডেন প্রশাসনের দেওয়া ‘একতরফা বাধা’ সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন, জানিয়েছে মস্কো।
Published : 16 Feb 2025, 05:13 PM
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে ফোনালাপে ইউক্রেইন পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্টের আগের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দেওয়া ‘একতরফা বাধা’ সরিয়ে নেওয়া আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেইনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই সৌদি আরবে বসছে এমন ঘোষণা আসার পর শনিবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে এই ফোনালাপ হয়েছে বলে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে শান্তি আলোচনায় ইউরোপকে রাখা হবে না, মার্কিন ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার এমন মন্তব্যের পর সোমবার প্যারিসে জরুরি সম্মেলনে বসছে ইউরোপের নেতারা।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনয় ইউরোপকে ‘সাইডলাইনে’ রাখতে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কায় করণীয় ঠিক করতে তারা এ বৈঠকে বসছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সৌদি আরবে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে আলোচনা হতে যাচ্ছে, তাতে কিইভকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করা ছাড়া ইউক্রেইন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় জড়াবেও না।
কেবল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হলে, ইউক্রেইন তা মানবে না, বলেছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে সৌদি আরবে বৈঠক করবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে ল্যাভরভ ও রুবিও দ্বিপাক্ষির সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে এমন যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন।
তাদের আলোচনায় বাইডেন প্রশাসনের যে ‘একতরফা বাধা’ সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই বাধা কী, বিবৃতিতে সে সম্বন্ধে বিস্তারিত কিছু বলা হয়।
তিন বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেইনে সর্বাত্মক অভিযানে নামলে বাইডেন নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্ররা মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল, নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতি ও ক্রেমলিনের যুদ্ধ সক্ষমতাকে দুর্বল করে দেবে। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফোনালাপে রুবিও ইউক্রেইনে সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
“পাশাপাশি তারা আরও কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন,” বিবৃতিতে এমনটাই বলেছে তারা।
দুজনের আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের পরিস্থিতিও স্থান পেয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।