মস্কোয় সাক্ষাৎ করলেন ‘প্রিয় বন্ধু’ শি-পুতিন

‍ক্রেমলিনে দুই নেতা সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় একে অপরকে ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করে অভিবাদন জানান তারা।

রয়টার্স
Published : 20 March 2023, 05:38 PM
Updated : 20 March 2023, 05:38 PM

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী। যিনি তার মিত্র পুতিনকে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় খুবই কার্যকর একজন বলে মনে করেন। একইসঙ্গে শি ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানে কার্যকর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বেইজিংয়ের ভূমিকা দেখতে চান।

ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়া সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি। মস্কোয় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সোমবারই প্রথম বিদেশ সফর করছেন শি।

এদিন স্থানীয় সময় বিকালে ‍ক্রেমলিনে দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়। এসময় তারা একে অপরকে ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করে অভিবাদন জানিয়েছেন। এরপর দুই নেতা নৈশভোজে যোগ দেন। মঙ্গলবার থেকে তারা আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করবেন।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের একবছর পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে ইউক্রেইনের অনেক শিশুকে রাশিয়ায় নির্বাসনে পাঠানোর অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আইসিসির ওই পরোয়ানা জারির পর শিই প্রথম কোনো বিশ্ব নেতা যিনি পুতিনের সঙ্গে দেখা করলেন।

যদিও রাশিয়া বা চীন আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়। তাই আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে তারা আমলে নিচ্ছেন না বলেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের যে ১২৩টা দেশ আইসিসির সদস্য সেখানে পুতিন একজন ফেরারি।

শি-র সফরের ঠিক আগে ঘটা এই বিষয়টি কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর একটি বাতাবরণ তৈরি করেছে বলে মত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।

শি’র সফরের আগে দিয়ে চীনের সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে (পরে রোববার রাতে যা ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে) পুতিন বলেন, ‘পুরনো ভালো বন্ধু’ শি-য়ের সফর নিয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী। ইউক্রেইন যুদ্ধে চীনের মধ্যস্থতাকারী হওয়ার ইচ্ছাকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। 

অপরদিকে একই দিন রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্র রাশিশকা গাজিয়াতায় প্রকাশিত নিবন্ধে শি লিখেছেন, “এক শতাব্দীতেও বিশ্বকে এত ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে দেখা যায়নি। শান্তি, উন্নয়ন ও উভয়পক্ষ লাভবান হয় এমন সহযোগিতা অপ্রতিরোধ্য। বৈশ্বিক বহুমুখীনতা, অর্থনীতির বিশ্বায়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক প্রবণতা অপরিবর্তনীয়।”