২০১৫ সালের পর গত ৯ বছরের মধ্যে এটিই ভারতের কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পাকিস্তান সফর।
Published : 15 Oct 2024, 09:17 PM
ভারতের সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পা রাখলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
দুই দেশের সম্পর্কে ক্রমাগত টানাপড়েনের মধ্যে ২০১৫ সালের পর গত ৯ বছরের মধ্যে এটিই ভারতের কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পাকিস্তান সফর।
মঙ্গলবার দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছেন জয়শঙ্কর। নূর খান বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
এসসিও সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন।সেখানে এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে করমর্দন, সৌজন্য বিনিময় করবেন জয়শঙ্কর। তবে জয়শঙ্কর ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাকিস্তানে থাকবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এসসিও সম্মেলন প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৫ ও ১৬ অক্টোবরে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে,“সম্মেলনের বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন।”
এর আগে গতবছর ভারতে এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একইরকম একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ছিলেন ২০১১ সালের পর ভারত সফর করা প্রথম কোনও ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। তার সেই সফরের পর এবার জয়শঙ্কর পাকিস্তানে গেলেন।
পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে ঘোর শত্রুতা চলে আসছে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন দেশ হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। এর দুটিই ছিল কাশ্মীর নিয়ে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় বড় ভূমিকা আছে এসসিও’র।মধ্য এশিয়ায় অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে এই ফোরামে আলোচনা হয়।
ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও এসসিও-র সদস্য দেশগুলো হল চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। গত বছর এসসিও সম্মেলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারত। আর এবছর এ সম্মেলন আয়োজন করেছে পাকিস্তান।
২০০১ সালে এসসিও গঠিত হয় নেটোর মতো পশ্চিমা সামরিক জোটের প্রভাবের পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে। ২০০৫ সালে পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে এসসিও-তে যোগ দেয় ভারত। ২০১৭ সালে দেশটি এসসিও’র পূর্ণ সদস্য হয়। একই বছরেই এসসিও-র পূর্ণ সদস্য দেশ হয় পাকিস্তান।