বিলুপ্তপ্রায় সিয়ামিজ প্রতাজির কুমিরের ৬০ টি ছানার জন্ম এ শতাব্দীতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা।
Published : 18 Jul 2024, 08:18 PM
ক্যাম্বোডিয়ায় ৬০টি সিয়ামিজ কুমির জন্ম নিয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রতাজির কুমিরের এতগুলো ছানার জন্ম এই শতাব্দীতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা।
২০ বছরের বেশি সময়ের চেষ্টার ফল পেয়েছেন তারা। প্রত্যন্ত এলাচ পাহাড়ে (কার্ডামম মাউন্টেইন) সরীসৃপের সংখ্যা বাড়াতে কাজ করা সংরক্ষণবাদীরা সিয়ামিজ কুমিরের এই ফিরে আসাকে ‘আশার লক্ষণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
জলপাই সবুজ মিঠা পানির এই কুমিরের মাথার পিছনে একটি হাড়ের ক্রেস্ট রয়েছে। ধারণা করা হয়, এটি ৩ মিটার বা প্রায় ১০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বিবিসি জানায়, স্থানীয়রা মে মাসে কুমিরের পাঁচটি আবাসস্থল খুঁজে পায়। জুনের শেষের দিকে কুমিরের ছানাগুলো জন্ম নেয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সংরক্ষণবাদীরা।
একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ এলাকাজুড়েই সিয়ামিজ কুমিরের দেখা মিলত। তবে কয়েক দশক ধরে শিকার এবং আবাসস্থল কমে আসায় প্রাণীগুলো ‘মারাত্মকভাবে বিপন্ন’ প্রজাতির কাতারে চলে যায় বলে জানিয়েছেন সংরক্ষণবাদীরা।
এখন বিশ্বে মাত্র ৪০০ টি সিয়ামিজ প্রজাতির কুমির অবশিষ্ট আছে। আর এর বেশিরভাগই আছে ক্যাম্বোডিয়ায়।
দেশটিতে সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা, ‘ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা’ কর্মসূচির প্রধান পাবলো সিনোভাস বলেন, “বন্য পরিবেশে এই কুমিরের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এদের ৬০টি নতুন ছানা ফোটানো অসাধারণ ব্যাপার।”
তিনি আরও বলেন, এটি "সমন্বিত সংরক্ষণ প্রচেষ্টার" জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ২০০০ সালে ক্যাম্বোডিয়ায় নতুন করে এই কুমিরের খোঁজ মেলার আগ পর্যন্ত এগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছিল।
সিনোভাস বলেন, ‘ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা’ তখন থেকেই স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করেছে, যাতে এলাচ পাহাড়ে উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়ার আগে বন্দি অবস্থায় এই কুমিরগুলোর প্রজননের ব্যবস্থা করা যায়।
স্থানীয় কমিউনিটি ওয়ার্ডেনরা কুমিরগুলো ছাড়ার পর নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিতই পাহাড়ে টহল দেয়।
২০১২ সাল থেকে এ উদ্যোগের ফলে সফলভাবে ১৯৬ টি সিয়ামিজ কুমিরকে বনে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।