পাকিস্তানে লংমার্চ করার মধ্যে এক সমাবেশে গুলিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পিটিআই এর অন্যান্য নেতাসহ ৭ জন আহত এবং দলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
পাঞ্জাবের পুলিশ এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য ডন’ পত্রিকা। ওই কর্মী ইমরানের গাড়িবহরকে স্বাগত জানাতে সেখানে ছিলেন। গুলিতে তিনি মারা যান। তার নাম মুয়াজ্জেম নওয়াজ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাকিস্তান তেহরিক ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি রয়টার্সকে বলেছেন, “এটি স্পষ্ট হত্যাচেষ্টা ছিল। হামলাকারীকে লোকজন থামিয়ে না দিলে পিটিআইয়ের পুরো নেতৃত্বই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।”
ইসলামাবাদ অভিমুখে পিটিআই’র লংমার্চের মধ্যে বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদের আল্লাহ ওয়ালা চকের সমাবেশে ইমরান খানের কন্টেইনার মঞ্চ লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় তিনি ছাড়া আরও যে পিটিআই নেতারা আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ফয়সাল জাভেদ অন্যতম।
পিটিআই এবং উদ্ধার কর্মকর্তারা অবশ্য গুলিতে সবমিলে ১০ জন আহত হওয়ার কথা বলেছেন এবং এর মধ্যে একটি শিশুও আছে বলে জানিয়েছেন।
ঘটনার কিছু্ক্ষণ পরেই গ্রেপ্তার হওয়া এক সন্দেহভাজন হামলাকারীর একটি স্বীকারোক্তি ছড়িয়ে পড়ে স্যোশাল মিডিয়ায়। এতে ওই ব্যক্তি হামলার কথা স্বীকার করেছেন। এ সময় হামলার একমাত্র লক্ষ্য ইমরান খান এবং এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন ওই যুবক।
তবে ইমরান খান এ হামলায় তিন ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা বলেছেন বলে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন পিটিআই নেতা আসাদ উমর। তিনি জানান, ইমরান খান এই বার্তা দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে বলেছেন যে, তার বিশ্বাস এ হামলায় তিন ব্যক্তি জড়িত।
তারা হলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল। ইমরান আগেই তার প্রাণনাশের চক্রান্তের বিষয়ে তথ্য পেয়েছিলেন- এমন কথাও জানিয়েছেন বলে জানান উমর।