যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে জাপান

যেসব দেশে সংঘাত চলছে না এবং যাদের সঙ্গে জাপানের নিরাপত্তা চুক্তি আছে, সেসব দেশের জন্য অস্ত্র রপ্তানি নীতি শিথিল করেছে শান্তিবাদী দেশ জাপান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2024, 01:55 PM
Updated : 26 March 2024, 01:55 PM

শান্তিবাদী নীতি থেকে সরে এসে যুক্তরাজ্য এবং ইতালির কাছে যুদ্ধবিমান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান।

যেসব দেশে কোনও সংঘাত চলছে না এবং যাদের সঙ্গে জাপানের নিরাপত্তা চুক্তি রয়েছে সেসব দেশের জন্য নিজেদের অস্ত্র রপ্তানি নীতি শিথিল করেছে দেশটি।

বিবিসি জানায়, চীন এবং উত্তর কোরিয়াকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে জাপান ২০২৭ সালের মধ্যে নিজেদের সামরিক ব্যয় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে।

প্রতিটি যুদ্ধবিমান বিক্রির ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাপান যুক্তরাজ্য ও ইতালির সঙ্গে সম্মিলিতভাবে নতুন ধরনের যুদ্ধবিমান তৈরি করতে শুরু করে, যেগুলোতে পাইলটদেরকে সাহায্য করার জন্য কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এই প্রথম জাপান অন্য কোনও দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র তৈরি করেছে। যুদ্ধবিমানগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে মোতায়েন করার কথা রয়েছে।

আগামী এপ্রিলে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে দিয়ে অস্ত্র বিক্রির এই ঘোষণা এল। সফরে জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোটের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে এবং নতুন সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে জাপান আগ্রহ প্রকাশ করবে।

তৃতীয় কোনও দেশে যুদ্ধবিমান রপ্তানি ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রকল্পে অংশীদারিত্বে জাপানের বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখার জন্য অপরিহার্য।

তবে, সমরাস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা মেনে চলার মাধ্যমে জাপান শান্তিবাদী দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রাখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের সংবিধানে যুদ্ধের নিন্দা এবং আন্তর্জাতিক বিরোধ মেটাতে শক্তির ব্যবহারের বিরোধিতা করা হয়। দেশটির সংবিধানে সামরিক বাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এবং যতটুকু সামরিক শক্তি দেশটির আছে তা প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যেই ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

জাপান অস্ত্র রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যা ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমলে প্রথম শিথিল করা হয়।