খারকিভের কাছে কয়েকটি গ্রাম দখল করা রুশ বাহিনী আরও অগ্রসর হতে পারে বলে আশঙ্কা জেলেনস্কির।
Published : 18 May 2024, 08:49 PM
ইউক্রেইনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের কাছে সাম্প্রতিক সফলতার পর রুশ বাহিনী ওই অঞ্চলে আক্রমণ আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধের মাঠে রুশ বাহিনী আরও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। ফলে ‘দুর্বল’ ফ্রন্টলাইন শক্তিশালী করার জন্য ভারী অস্ত্রসজ্জিত সেনাবহর মোতায়েন করছে ইউক্রেইন।
ফ্রন্টলাইনে নতুন করে ‘সেনা মোতায়েন’ নিয়ে এবং সেনাদের ‘মনোবল দুর্বল’ হয়ে পড়ার যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা স্বীকার করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, “ময়দানে থাকা বেশ কিছু ব্রিগেড রসদশূন্য হয়ে পড়েছে।”
তিনি বলেন, ইউক্রেইনের যুদ্ধবিমানের ঘাটতি রয়েছে। ফলে মিত্রদের কাছ থেকে ফের আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং যুদ্ধবিমান পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিজ দেশের বহরে যুদ্ধবিমানের ‘ঘাটতি’র বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেইনকে রক্ষায় যা প্রয়োজন, সেই তুলনায় আমাদের রয়েছে ২৫ শতাংশ। আমাদের বহরে ১২০টি থেকে ১৩০টি অত্যাধুনিক বিমান থাকা উচিত, যাতে রাশিয়া বিমান সক্ষমতায় এগিয়ে না যায়।”
সম্প্রতি ইউক্রেইনকে সামরিক সহায়তার অংশ হিসেবে নতুন করে ৬১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রুশ বাহিনী সম্প্রতি তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ শুরু করেছে। ইউক্রেইনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের কাছে কয়েকটি গ্রাম দখল করে নিয়েছে তারা।
খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনেগুবো শনিবার বলেন, ওই অঞ্চলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় হাজার দশেক মানুষ এলাকা ছেড়ে গেছে। তবে ইউক্রেইনীয় বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই এলাকাগুলোয় অবস্থান করছে।
সীমান্তে অবস্থান শক্ত করছে পোল্যান্ডও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক ‘সম্ভাব্য শত্রুদের’ বিরুদ্ধে পূর্ব সীমান্ত শক্তিশালী করতে এরই মধ্যে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধে আরও বেশি সৈন্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, তাদের বেশিরভাগ ব্রিগেড শূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে এসব ব্রিগেডে আরও বেশি সৈন্য প্রয়োজন।
সেনা সংকট দূর করতে ইউক্রেইনে একটি নতুন আইন কার্যকর হচ্ছে শনিবার থেকে। এতে নাগরিকদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার বয়স ২৭ থেকে কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে, যাতে ময়দানে আরও যোদ্ধা মোতায়েন করা যায়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণ শুরু করলে ইউক্রেইনের স্বেচ্ছসেবকরা দলে দলে যুদ্ধের ময়দানে যোগ দেন। তবে স্বেচ্ছসেবকদের সেই ঢল এখন আর নেই।