প্রাণঘাতী ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ১৫১ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
Published : 16 Sep 2024, 01:33 PM
ভারতের কেরালা রাজ্যে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় এক চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, প্রাণঘাতী ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ওই শিক্ষার্থীর সংস্পর্শে আসা ১৫১ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চলতি বছর কেরালায় এই নিয়ে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হল। এর আগে জুলাইয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছিল।
রয়টার্স জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ওই শিক্ষার্থীর মধ্যে নিপা সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। এর পাঁচ দিন পর তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কেরালার মালাপ্পুরমের জেলা চিকিৎসা কর্মকর্তা আর. রেনুকা।
রেনুকা জানান, আক্রান্তের রক্তের নমুনা পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজিতে পাঠানো হয়েছিল, ৯ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে নিপা সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়।
তিনি আরও জানান, আরও পাঁচজনের মধ্যে নিপা সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে এই পাঁচজন মৃত রোগীর কোনো ধরনের সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না, তা জানাননি তিনি। তালিকা অনুযায়ী যে ১৫১ জন মৃত রোগীর প্রাথমিক সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের পর্যবেক্ষণে রেখে কোনো রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় কিনা সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
রেনুকা জানিয়েছেন, যে শিক্ষার্থী মারা গেছেন তিনি বেঙ্গালুরু থেকে এসেছিলেন।
এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে মালাপ্পুরমে নিপা সংক্রমণে ১৪ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
মহামারী সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় নিপা ভাইরাসকে অগ্রাধিকার প্যাথোজেন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) । এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার মতো কোনো টিকা নেই আর আক্রান্ত হওয়ার পর রোগ সারানোর মতো কোনো চিকিৎসাও নেই। আক্রান্ত রোগীদের ‘নিবিড় পরিচর্যা করাই’ একমাত্র চিকিৎসা বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত বছর রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখিয়েছে, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছাড়াতে পারে বিশ্বজুড়ে এমন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে কেরালায় কিছু এলাকাও রয়েছে।
ফল খায় এমন বাদুর ও শুকরের মতো প্রাণীর মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। নিপা ভাইরাসে সংক্রমণের লক্ষণগুলো হল শ্বাসকষ্ট, মস্তিস্কে প্রদাহ, জ্বর, মাথাব্যথা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, বিভ্রান্তভাব ও প্রলাপ বকা। আক্রান্ত রোগী সংক্রমণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গভীর কোমায় চলে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: