কাশ্মীরে জি২০ বৈঠক করার সিদ্ধান্ত ভারতের, নিন্দা জানাল পাকিস্তান

উভয় দেশই সমগ্র কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করলেও প্রত্যেকে এর পৃথক পৃথক অংশ শাসন করছে। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে হওয়া তিনটি যুদ্ধের দুটিই হয়েছে কাশ্মীরকে নিয়ে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2023, 11:38 AM
Updated : 11 April 2023, 11:38 AM

হিমালয়ের বিরোধপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মীরে আগামী মাসে জি২০-র বৈঠক করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত তার নিন্দা জানিয়ে এই পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ অ্যাখ্যা দিয়েছে পাকিস্তান।

উভয় দেশই সমগ্র কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করলেও প্রত্যেকে এর পৃথক পৃথক অংশ শাসন করছে। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে হওয়া তিনটি যুদ্ধের দুটিই হয়েছে কাশ্মীরকে নিয়ে।

ভারত এখন জি২০-র প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছে, তারা সেপ্টেম্বরের শুরুতে নয়া দিল্লিতে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের সম্মেলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।

ওই সম্মেলনের আগে জি২০-র বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক ও ইয়ুথ ২০-র বৈঠকের যে পুরো সূচি ভারত শুক্রবার প্রকাশ করেছে, তাতে এপ্রিল-মে’র বৈঠকস্থল হিসেবে কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল লাদাখের লেহ-ও স্থান পেয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিরোধপূর্ণ অঞ্চলকে এমন বৈঠকের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়ায় মঙ্গলবার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

“জম্মু ও কাশ্মীরে নিজেদের অবৈধ দখলকে চিরস্থায়ী করতে ভারত একের পর যে সমস্ত স্বার্থপর পদক্ষেপ নিয়েছে, তার সর্বশেষটা হচ্ছে এই দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ,” বিবৃতিতে বলেছে তারা।

এর মাধ্যমে ভারত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব উপেক্ষা এবং জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের নীতি লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ তাদের।

“পাকিস্তান এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে,” বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পাকিস্তানের এই বিবৃতি নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল রয়টার্স, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দিক থেকে সাড়া মেলেনি।

ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর; এখানে কয়েক দশক ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় পাকিস্তান মদদ দিচ্ছে বলে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে।

ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা কেবলমাত্র আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চাওয়া কাশ্মীরিদের কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থনই দিয়ে যাচ্ছে।

ভারত তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরের কিছু অংশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে পাকিস্তান যে অভিযোগ করে আসছে, নয়া দিল্লিও তা অস্বীকার করে আসছে।