সমুদ্রে ফের দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রদুটি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2022, 09:28 AM
Updated : 18 Dec 2022, 09:28 AM

কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলের কাছে সমুদ্রে উত্তর কোরিয়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।

উত্তেজনা বাড়াতে পিয়ংইয়ংয়ের এ জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।

রোববার উত্তর কোরিয়ার ছোড়া দুটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় বলে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের (জেসিএস) বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

জাপানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোশিরো ইনো বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছে বলেই মনে হচ্ছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

“উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অনেকটা খাড়াভাবে ছোড়া হয়েছিল, সেগুলো পূর্ব সাগরে গিয়ে পড়ে। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত সাম্প্রতিক অগ্রগতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষগুলো পরিস্থিতি সম্পর্কে পুঙ্গানুপৃঙ্খ পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, ” বিবৃতিতে বলেছেন জেসিএস।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক করেছে এবং উত্তরের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, বলেছে দক্ষিণের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।

উত্তরের ক্রমাগত উসকানি এবং পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিকাশ উত্তর কোরিয়ার শাসনকেই আরও বিপাকে ফেলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

পিয়ংইয়ং একটি হাই-থ্রাস্ট সলিড ফুয়েল ইঞ্জিনের পরীক্ষা চালানোর কয়েকদিন পর সমু্দ্রে এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল। ওই ইঞ্জিন পেলে তা দিয়ে নতুন কৌশলগত অস্ত্র উদ্ভাবন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির গতি বাড়াতে চাওয়া উত্তর কোরিয়া সহজেই বহনযোগ্য কেন্দ্র থেকে দ্রুতগতিতে এবং আরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারবে বলে ভাষ্য বিশ্লেষকদের।

বৃহস্পতিবার দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনের উপস্থিতিতে চালানো এই ইঞ্জিনের পরীক্ষাটি হয় সোহায়ে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে; এটি সাধারণত রকেট ইঞ্জিন ও মহাশূন্যে কিছু পাঠানোর যন্ত্রপাতিসহ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি যাচাইয়ে ব্যবহৃত হয় বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে উত্তরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ সত্ত্বেও পিয়ংইয়ং চলতি বছর আন্তঃমহাদেশীয়সহ বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

নভেম্বরে তারা যে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল সেটির যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর সক্ষমতা থাকলেও প্রায় খাড়াভাবে ছোড়ায় শেষ পর্যন্ত তা মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরের সাগরে পড়ে বলে জানিয়েছিলেন জাপানের কর্মকর্তারা।