যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন মধ্যবর্তীকালীন নির্বাচনে ভুয়া ও বেআইনি তথ্যের প্রচার বন্ধে আগেভাগেই তৎপর হচ্ছে শর্ট-ফর্ম-ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক। আর্থিক সুবিধা নিয়ে রাজনৈতিক প্রচার চালানো যে বেআইনি, ইনফ্লুয়েন্সারদের সে বিষয়ে শেখাতে নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
২০২০ সালের নির্বাচনের সময়েই প্ল্যাটফর্মটি স্বীকার করে নিয়েছিল, ইনফ্লুয়েন্সারদের প্ল্যাটফর্মের নীতিমালার প্রতি অনুগত রাখতে আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল তাদের।
নভেম্বর মাসের মধ্যবর্তীকালীন নির্বাচনে আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে চায় প্ল্যাটফর্মটি।
বিবিসি জানিয়েছে, সামনের সপ্তাহগুলোতে টিকটক বেশকিছু শিক্ষামূলক কনটেন্ট প্রকাশ করবে। এ ছাড়াও ইনফ্লয়েন্সার ও বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর সঙ্গে নীতিমালা নিয়ে আলোচনায় বসবে প্ল্যাটফর্মটি। নির্চনের সময়ে বিজ্ঞাপনী কনটেন্টের বেলায় কার্যপ্রণালী যেন পুরোপুরি স্বচ্ছ থাকে, সেটি নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, রাজনৈতিক কনটেন্ট প্রচারের জন্য আর্থিক সুবিধা নেওয়া বিষয়টি ইচ্ছা করে চেপে যাওয়ার কথা জানতে পারলে ওই কনটেন্টে ‘তাৎক্ষণিকবাবে’ টিকটক প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে দেবে।
টিকটকের দাবি, আর্থিক সুবিধার বদলে রাজনৈতিক প্রচরণা বরাবরই নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্মে।
এ প্রসঙ্গে ‘সেন্টার ফর দ্য অ্যানালিসিস অফ সোশাল মিডিয়া’-এর প্রধান এলেন জাডসনের মন্তব্য, “এটা দেখে ভালো লাগছে যে, টিকটক স্বীকার করে নিচ্ছে যে উন্নয়নের আরও সুযোগ আছে।”
তবে এই পরিকল্পনার সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে সতর্কও করে দিয়েছেন তিনি। “ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজ প্ল্যাটফর্মের নিয়ম নিয়ে শেখানোর ওপর নির্ভর করা নিজ উদ্যোগে এবং কৌশলগতভাবে প্রয়োগের বিকল্প হতে পারে না। রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা দূরত্বটি চিহ্নিত করে এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।”
তবে, টিকটক বলছে, বিজ্ঞাপনী কনটেন্টের বাইরেও কার্যকর হবে তাদের নতুন পরিকল্পনা। আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে হোক বা না হোক, নীতিমালা ভঙ্গ করে এমন কোনো কনটেন্টই বরদাস্ত করা হবে না বলে দাবি করেছে প্ল্যাটফর্মটি।
নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার, নির্বাচনী কর্মীদের হয়রানি, বিদ্বেষমূলক আচরণ এবং সহিংসতার সবকিছুই নিষিদ্ধ– বলে জানিয়েছে টিকটক। এ ছাড়াও কনটেন্টে নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে দেখা হতে পারে এবং যাচাইকরণের সময়ে কনটেন্টের প্রচারও সীমিত করে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।