ইইউ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘নির্বাচন কেন্দ্র’ আনছে টিকটক

ছবি: রয়টার্স

ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচন বিষয়ে ভুয়া খবর ও গোপন প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানিয়েছে বাইটড্যান্স মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম টিকটক।

জুনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ইইউ’র ২৭টি দেশে একটি স্থানীয় ভাষার অ্যাপের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম মোকাবেলা করার ঘোষণা কোম্পানিটি দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

টিকটক বলেছে, স্থানীয় ভাষার স্বতন্ত্র ‘নির্বাচন কেন্দ্রগুলো’ তৈরির কাজটি প্রথম ২০২১ সালে শুরু হয়েছিল। আর গত বছর যখন গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও স্পেন নির্বাচনে গিয়েছিল তখন এ কাজের গতি বেড়েছে।

অ্যাপটি ইউরোপীয়দের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানানোর জন্য নকশা করা হয়েছে।

ভুল তথ্যের বিস্তার, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার মতো এআইয়ের তৈরি ডিপফেইক ছবির ব্যবহার ও বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমগুলোর ভূমিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সরকার ও রাজনীতিবিদরা উদ্বিগ্ন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রায় ৩০ শতাংশ আইন প্রণেতা টিকটক ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

“পরের মাসে আমরা ২৭টি স্বতন্ত্র ইইউ সদস্য দেশের প্রত্যেকের জন্য অ্যাপের মধ্যে স্থানীয় ভাষার একটি নির্বাচন কেন্দ্র চালু করবো, যাতে মানুষ সহজেই গুজব ও সত্যিটা আলাদা করতে পারে।” – এক ব্লগপোস্টে বলেছেন ‘ইএমইএ’ বা ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলে টিকটকের ট্রাস্ট অ্যান্ড সেইফটি বিভাগের প্রধান কেভিন মর্গান।

“স্থানীয় নির্বাচন কমিশন ও নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে এই নির্বাচন কেন্দ্রগুলো এমন এক জায়গা হবে যেখানে এ অঞ্চলের মানুষরা বিশ্বস্ত ও সঠিক তথ্য পেতে পারেন।”

পাশাপাশি, এর আগের নির্বাচনের সময় এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও ভুল তথ্য সম্পর্কে শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে ‘নিউজ চেকার’ বা খবর পরীক্ষকদের সঙ্গে কাজ করেছিল কোম্পানিটি।

মর্গান আরো বলেন, টিকটক বর্তমানে ইউরোপের নয়টি ফ্যাক্ট চেকিং সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে। পাশাপাশি, এ ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক প্রসারিত করার ও এই বছরে নয়টি অতিরিক্ত মিডিয়া সাক্ষরতা ক্যাম্পেইন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সামাজিক মাধ্যমটির।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে আগামী মাসগুলোতে গোপন প্রভাব কার্যক্রমের বিষয়ে টিকটক প্রতিবেদন চালু করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।