হিলিয়ামের খোঁজে ‘চাঁদে খনন’ করতে চায় মার্কিন স্টার্টআপ

কোম্পানিটির প্রাথমিক লক্ষ্য ‘হিলিয়াম ৩’, যা সূর্য থেকে ফিউশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এক ধরনের হিলিয়াম আইসোটোপ। আর এগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকতে পারে চাঁদের পৃষ্ঠে।

বিশ্বের প্রথম প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে চাঁদের প্রাকৃতিক খনিজ উত্তোলন করে তা পৃথিবীতে এনে বিক্রি করার লক্ষ্যে কাজ করছে ‘ইন্টারলুন’ নামের একটি মার্কিন স্টার্টআপ কোম্পানি।

কোম্পানিটির প্রাথমিক লক্ষ্য ‘হিলিয়াম ৩’, যা সূর্য থেকে ফিউশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হিলিয়ামের একটি আইসোটোপ। আর এগুলো লুকিয়ে থাকতে পারে চাঁদের পৃষ্ঠে।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইন্টারলুনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও জেফ বেজোস মালিকানাধীন রকেট কোম্পানি ব্লু অরিজিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রব মেয়ারসন বলেছেন, কোম্পানির আশা, নাসা পরিচালিত আসন্ন কোনও এক মিশনে তাদের একটি ‘হার্ভেস্টার’ চাঁদে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, কোম্পানির পরিকল্পনা হল ২০২৮ সাল নাগাদ চাঁদে নিজস্ব ‘পাইলট প্ল্যান্ট’ বসানো ও ২০৩০ সাল নাগাদ এর কার্যক্রম শুরু করা।

এ সপ্তাহে এক কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুদান পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারলুন, যার মধ্যে দেড় কোটি ডলার এসেছে রেডিটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহানিয়ানের বিনিয়োগ কোম্পানি ‘সেভেন সেভেন সিক্স’ থেকে।

ইন্টারলুনের ‘টার্গেট’ উপাদান অর্থাৎ হিলিয়াম-৩ পৃথিবীতে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, মেডিকাল ইমেজিংয়ের মতো উদীয়মান খাত এমনকি ভবিষ্যতে কোনও একদিন ফিউশন রিয়েক্টর হিসেবেও।

সৌর বায়ুর মাধ্যমে চাঁদে প্রবাহিত হয়ে থাকে উপাদানটি। বিজ্ঞানীদের ধারণা বলছে, এর অবশিষ্টাংশ আটকে যেতে পারে চাঁদের পৃষ্ঠে, যেখানে এটি পৃথিবীতে পৌঁছানোর আগেই ম্যাগনেটোস্ফেয়ার বা চুম্বক মণ্ডলে আটকে যায়।

ইন্টারলুনেল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে বড় আকারের খননের পর সেটি প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে হিলিয়াম-৩ গ্যাস নির্গমন করা, যা নভোযানের সহায়তায় আসবে পৃথিবীতে।

চাঁদে নিজেদের ‘লুনার হার্ভেস্টার’ পাঠানোর পাশাপাশি একটি ‘রোবটিক ল্যান্ডার’ মিশনও পরিকল্পনা করছে ইন্টারলুন, যার সহায়তায় চাঁদের পৃষ্ঠে বাছাইকৃত এলাকায় হিলিয়াম ৩-এর ঘনত্ব মূল্যায়ন করা যাবে।