ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স-এর পর এবার ‘চাপ্টার ১১ দেউলিয়া সুরক্ষা’র আবেদন করছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বাণিজ্যিক ক্রিপ্টো মাইনিং কোম্পানি ‘কোর সায়েন্টিফিক’।
বুধবার সকালে সম্পদের তরলীকরণ ছাড়াই দেউলিয়াত্ব সুরক্ষার জন্য টেক্সাসে আবেদন করার কথা কোম্পানিটি বলেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন প্রকাশনা সিএনবিসি। তবে, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা নোটধারীদের সঙ্গে চুক্তির বেলায় এটি স্বাভাবিক নিয়মেই পরিচালিত হবে।
গত সপ্তাহে কোর সায়েন্টিফিকের অন্যতম পাওনাদার ‘বি. রাইলি ফিনান্সিয়াল ইনকর্পোরেটেড’, কোম্পানিটির দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে সাত কোটি ২০ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্স কোর সায়েন্টিফিকের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো জবাব মেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের অস্টিন শহর ভিত্তিক এই মাইনার কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করে জর্জিয়া, কেনটাকি, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নর্থ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যে। বিটকয়েন ও ইথেরিয়াম’সহ বিভিন্ন ডিজিটাল সম্পদ মাইনিং করে কোম্পানিটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রিপ্টোমুদ্রার দাম কমে যাওয়া ও মাইনিংয়ে শক্তির খরচ বৃদ্ধির কারণে লাভ কমে যাওয়ায় ব্যপক ‘চাপের মধ্যে আছে’ বিটকয়েন মাইনার কোম্পানিগুলো।
মঙ্গলবারের হিসাব অনুসারে, কোরের মূলধন কমে দাড়িয়েছে সাত কোটি ৮০ লাখ ডলারে। ২০২১ সালের জুলাইতেও এর বাজারমূল্য ছিল চারশ ৩০ কোটি ডলার। সে সময় ‘স্পাক’ নামে পরিচিত এক বিশেষ অধিগ্রহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে কোম্পানিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। আর গত বছর কোরের শেয়ারমূল্য কমেছে ৯৮ শতাংশ।
ক্রিপ্টো বাজারের চরম পরিস্থিতি সেলসিয়াস নেটওয়ার্ক ও ভয়েজার ডিজিটাল লিমিটেডের মতো অন্যান্য শীর্ষ ক্রিপ্টো ঋণদাতাকেও দেউলিয়া হওয়ার দিকে পরিচালিত করেছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেলসিয়াস নেটওয়ার্ক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনা মামলার প্রভাব পড়েছে কোর সায়েন্টিফিকের ওপরও।